উত্তর ২৪ পরগনা: টাকির পুর প্রশাসকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত টাকি পুরসভা চত্বর। অভিযোগ, গত দেড় বছর ধরে প্রশাসকমণ্ডলী পুরসভা চালাচ্ছে। অথচ কোনও পরিষেবা সাধারণ মানুষ পান না। অভিযোগ, উল্টে রাজ্য ফিনান্স কমিশনের বরাদ্দ ২৮ লক্ষ টাকায় পুর প্রশাসক দামি গাড়ি কিনে নিয়েছেন।
অতিমারির কারণে পুরভোট এখন বিশ বাঁও জলে। মেয়াদ ফুরনোর পর গত দেড় বছর ধরে অধিকাংশ পুরসভাই চলছে প্রশাসকমণ্ডলীদের তত্ত্বাবধানে। সেখানে পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগও উঠছে। বসিরহাট মহকুমার টাকি পুরসভার প্রশাসক সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার এলাকারই একাংশ। সেই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরও।
বৃহস্পতিবার টাকি পুরসভার গেটের সামনে এলাকার লোকজন, বিদায়ী কাউন্সিলররা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযোগ, করোনা মহামারীর সময় টাকি পুরসভার অধীনে ১৬টি ওয়ার্ডে কোনও সংস্কার হয়নি। এমন কী বহু কাজ বন্ধও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
৯ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন প্রেসিডেন্ট চিন্ময় মণ্ডলের অভিযোগ, “ওয়ার্ডগুলো পরিষ্কার করা হয় না। ড্রেনগুলির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ২৮ লক্ষ টাকা এসেছিল ফান্ড। অথচ নতুন স্করপিও গাড়িটা ৫-৬ বছর হয়েছে, তা ছেড়ে চেয়ারম্যান ওই টাকায় নতুন গাড়ি কিনেছেন। মানুষের পুর পরিষেবা ব্যাহত। অথচ চেয়ারে বসে এটা কি করার দরকার ছিল?”
এ প্রসঙ্গে টাকির পুরপ্রশাসক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন,”এ রকম অভিযোগ রয়েছে বলে আমার জানা নেই। এসব একেবারেই মিথ্যা কথা। পুরসভায় আসা উন্নয়ন খাতের টাকার সমস্তটাই পরিষেবার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি কেউ হিসাবে কোনও সমস্যা আছে বলে মনে করে, সরাসরি বলুক। সকলে মিলিয়ে দেখতে পারেন।” আরও পড়ুন: ২০ জুলাই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ, অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পর্ষদের