Bhangar Agitation: এবার প্রমোটাররাজ! ফের জমি আন্দোলনে উত্তপ্ত ভাঙড়ের হাতিশালা
Bhangar Agitation: এই ঘটনায় দু'পক্ষই একে ওপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন কাশীপুর থানায়। ঘটনার তদন্তে কাশীপুর থানার পুলিশ।
ভাঙড়: জমি বিবাদে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকা। অভিযোগ চাষের জমি দখল করে প্রোমোটারদের হাতে তুলে দিচ্ছে শাসকদলের মদতপুষ্ঠ কয়েকজন জমি মাফিয়া। সোমবার সকালে তা নিয়েই বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। কৃষি জমি বাঁচাও কমিটির ব্যানারে মিছিলও করেন তাঁরা। অভিযোগ, সেই সময় বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় প্রোমোটার চক্রের লোকজন। পরে উভয়পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং ঘটনায় উভয়পক্ষের কয়েকজন অল্পবিস্তর আহতও হন। এই ঘটনায় দু’পক্ষই একে ওপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন কাশীপুর থানায়। ঘটনার তদন্তে কাশীপুর থানার পুলিশ।
জমি আন্দোলনকারী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা বলেন, “২০০৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের হাতিশালায় সিজ লাইনে ধান জমি ছিল। ওই জমিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে ধান বুনে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে এত বড় আবাসন হল কীভাবে? জমি কৃষকের কাছেই থাকবে। কোনও দালালরাজ চলবে না। চাষযোগ্য জমি বিক্রি হবে না।”
আক্রান্ত ব্যক্তির কথায়, “জমি কমিটির লোক বাঁশ নিয়ে এসে মারধর করেছে। চার পাঁচ জন লাঠিসোটা নিয়ে মেরেছে।”
ভাঙড়ে দীর্ঘদিন ধরে চলেছে জমি আন্দোলন। ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের নির্মীয়মাণ ডিস্ট্রিবিউশন স্টেশনের গেটের সামনে দীর্ঘদিন ধরে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। গত বছর আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে প্রস্তাবিত হিমঘরের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু প্রশাসন। তারপরই অবস্থান বিক্ষোভ উঠে যায়।
২০১২ সালে ভাঙড়ের খামারআইটে জমি অধিগ্রহণের কথা রাজ্যকে বলে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিডেট। সেই মতো ১৩ দশমিক চার একর জমি অধিগ্রহণ করে রাজ্য। ওই বছরই ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা কৃষকদের দেয় পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন। ২০১৩ সালে বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। জমিদাতারা অভিযোগ করেন, কম দামে জমি দিতে তাদের বাধ্য করা হয়েছিল। সেটা নিয়েই আন্দোলন। সেই আন্দোলন শেষ হলেও এবার ভাঙড়়ের সেই হাতিশালায় শুরু হল অন্য আন্দোলন।