আজকাল অধিকাংশ মেয়েই ওয়ার্কিং আর যে কারণে মেয়েদের বয়েসও এখনও বেশ কিছুটা পিছিয়েছে। ৩০ বছরের আগে কোনও মেয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন না। আর সন্তানের জন্ম দিতে আরও অন্তত ৫ বছর। অর্থাৎ ৩৫ এর পর গিয়ে মা হচ্ছেন অধিকাংশ মেয়ে। ৩০ এর পর থেকেই মেয়েদের হরমোনজনিত নানা পরিবর্তন দেখা দেয় শরীরে। যখন ৪০ এ প্রবেশ করেন মেয়েরা তখন তাঁদের পুষ্টির চাহিদাতেও আসে পরিবর্তন। বাড়ি, সংসার, অফিস সামলে অধিকাংশ মা ঠিক সময়ে খাবার খান না। খাবারের মধ্যে দীর্ঘ গ্যাপ পড়ে যায়। অনেক সময় খাবার নষ্ট হবে ভেবে তাঁদের প্রয়োজনের অতিরিক্তও খাবার খেতে হয়। এর ফলে ওবেসিটির সমস্যা অবধারিত। মেয়েদের শরীরে আয়রন, ক্যালশিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ খুবই সাধারণ। আজকাল ভিটামিন ডি-এর অভাবজনিত সমস্যাতেও অনেকে ভুগছেন। আর তাই প্রথম থেকে সতর্ক থাকতে যেসব খাবার নিয়ম করে খেতেই হবে-
শাকপাতা- রোজ যে কোনও একটা শাক খেতেই হবে। কলমি, নটে, লাল শাক, সরষে সাক, পাটশাক, খসলা শাক, পুঁই শাক- যে ভাবেই হোক শাক খাওয়া প্রয়োজন। শাকের মধ্যে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- যা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যানসারের মত দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড- ৪০ বছর বয়সের পর মেয়েদের মধ্যে বাড়ে ক্যানসারের ঝুঁকি। আর তাই হার্ট ঠিক রাখতে, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খুবই প্রয়োজনীয় হল ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ব্লু বেরি, স্ট্রবেরি, রাসবেরি এক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে।
গোটা শস্য- কুইনোয়া, ব্রাউন রাইস, ওটমিল এক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে। এই সবের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং হজমের সমস্যার সমাধান করে।
বাদাম- আমন্ড, পেস্তা, ওয়াল নাট নিয়ম করে এই সব বাদাম অবশ্যই রাখবেন ডায়েটে। এছাড়াও চিয়া বীজ, ফ্ল্যাক্স সিড, কুমড়ো বীজ এসবও অবশ্যই রাখবেন ডায়েটে। এর মধ্যে থাকে স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন এবং ফাইবার। যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যে কোনও প্রদাহও কমিয়ে দেয়।
চর্বিহীন প্রোটিন- মুসুর ডীল, মাংস, ডিম এসবও রোজ নিয়ম করে রাখবেন ডায়েটে। এর মধ্যে যে প্রোটিন থাকে তা শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।