কলকাতা: গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ! এসি ছাড়া এক মুহূর্ত থাকাই দায় হয়ে উঠেছে। আর প্রবল তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের জোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থা সিইএসসি। গোটা কলকাতায় বিদ্যুতের চাহিদা প্রতিদিন রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবারের পর মঙ্গলবার আরও বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। সিইএসসি সূত্রে খবর, সোমবার বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২ হাজার ৩৬৬ মেগাওয়াট। এটাই সিইএসসি-র ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা। মঙ্গলবার সেটা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫০৩ মেগাওয়াট। অর্থাৎ সেই রেকর্ডও ভেঙে গিয়েছে।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ পুরোটাই সাপ্লাই করা গিয়েছে লাইসেন্স এরিয়ার মধ্যে। কিছু অঞ্চলে সাপ্লাই বিঘ্নিত হয়েছে। তবে অনেক বেশি অঞ্চলে হয়নি বলেই জানানো হয়েছে। সিইএসসি-র দাবি, অনেক ক্ষেত্রে সংস্থাকে না জানিয়ে উপভোক্তারা বিদ্যুৎ ব্যবহারের লোড বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক জায়গায়। এই ওভারলোডিং-এর জন্যে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সাধারণত বিদ্যুতের বিলের পিছনেই লেখা থাকে বিদ্যুতের কতটা লোড। একটা এসি চলবে, না দুটো সেটা ওই লোড দেখেই বোঝা যায়। কিন্তু এই নিয়ম না মানার কারণেই বেশ কিছু জায়গায় এই বিপত্তি ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবারই বহু গ্রাহককে ওভার লোডিং কমানোর জন্য এসএমএস করা হয়েছে সিইএসসি-র তরফে। উল্লেখ করা হয়েছে, তাপপ্রবাহ বেড়েছে শহরে। এমতাবস্থায় আইন মেনে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হবে। নাহলে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় লোডশেডিং-এর বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে।
শুক্রবার ২১ এপ্রিল পর্যন্ত দাবদাহ চলবে দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে জেলায় জেলায়। হাওয়া অফিস বলছে, গরমের সঙ্গে অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকতে পারে শুক্রবার পর্যন্ত। এই কয়েকদিন সাবধানে বিদ্যুৎ খরচ করা জরুরি।