সাগরদিঘি: জাকির হোসেন সেফ অ্যান্ড সাউন্ড ম্যান। সোমবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে জঙ্গিপুরের বিধায়ককে এমনই দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক চক্রান্ত করেই জাকির হোসেনের বাড়িতে আয়কর দফতরকে দিয়ে অভিযান চালানো হয় বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এদিন মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। জঙ্গিপুরের বিধায়ককে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে তিনি বলেন, “জাকির একজন বিড়ি শিল্পপতি। জাকিরের ২০ হাজার বিড়ি শ্রমিক রয়েছে। তাঁদের মাইনে দেবে কী ভাবে। কটা বিড়ি শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে? কী ভাবে তাঁদের মাইনে দেবে?”
তৃণমূল কংগ্রেস করার জন্যই জাকিরকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। তাঁর কথায়, “তিনি (জাকির) দোষ করলে অবশ্যই আইনত ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু, তিনি কেবল তৃণমূল কংগ্রেস করেন বলে…এর আগে জাকিরকে তো প্রাণে মারারও চক্রান্ত করা হয়েছিল।” তবে জাকিরের বাড়িতে তল্লাশি চালালেও বিষয়টি নিয়ে ভাবিত নন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “জাকির একজন সেফ অ্যান্ড সাউন্ড ম্যান। জাকির বুঝে নেবে ওদেরটা।”
একসময়ে তৃণমূল দলের বিশ্বস্ত কর্মীই জাকির হোসেন সহ দলের শক্তিশালী নেতাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কোনও একজনকে এখানে কাজ করার জন্য দলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি লাইন করে কোন লোকটা তৃণমূলের শক্তিশালী, তাঁর বাড়িতে লোক পাঠিয়ে দিচ্ছে। অন্যের বাড়িতে পাঠানোর আগে নিজের বাড়িতে তল্লাশি চালান। ইডি, সিবিআই-কে দিয়ে তল্লাশি করান।” অন্যদিকে, এদিন বিধায়ক জাকির হোসেন সহ তাঁর মতো মুর্শিদাবাদে ব্যবসায়ীদের জেলায় হাসপাতাল গড়ারও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় আয়কর দফতর। তাঁর বাড়িতে কোটি-কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও বিধায়কের দাবি, “১১ কোটি অনেকে দেখাচ্ছে। তা ঠিক নয়। ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা নিয়ে গিয়েছে। এমন কিছু টাকা নয়।” ব্যবসার কারণে যদিও তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা।