নয়াদিল্লি: আইপিএলের (IPL) লাভ-ক্ষতি নিয়ে বিচার করতে বসলে অনেক অঙ্ক খুব জটিল হয়ে দাঁড়াবে। তরুণ ক্রিকেটাররা দেশ-বিদেশের তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারছেন। নিজেদের ভুল ত্রুটি গুলো শুধরে নেওয়ার সুযোগ থাকে। সংস্কৃতির আদান-প্রদানও হয়। বন্ধুত্ব গভীর হয়। এত ইতিবাচক দিকের মধ্যে, কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। পরস্পরের শক্তি-দূর্বলতা গুলোও জেনে যায়। আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময় সেগুলো ‘কাজে লাগে’। ৯ জুন শুরু হচ্ছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা (INDvSA) টি ২০ সিরিজ। সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসে এই সিরিজে ভারত অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের (KL Rahul) নেতৃত্বে খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি’কক (Quinton De Kock)। তেমনই অভিষেকেই আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) নেতৃত্বে খেলেছেন ডেভিড মিলার (David Miller)। ভারত সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোয়াডের অনেক ক্রিকেটারই আইপিএলে খেলেছেন। সকলের মরসুম ভালো কেটেছে তা নয়। তবে সকলের মধ্যে বিশেষ প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে ডেভিড মিলার।
আইপিএলে শুরুর কয়েকটি ম্যাচে সেট হয়েও ‘ফিনিশার’র ভূমিকা পালন করতে পারছিলেন না মিলার। গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া তার উপর ভরসা রেখেছেন। মর্যাদা রেখেছেন মিলারও। বেশকিছু ম্যাচ ‘ফিনিশ’ করেই মাঠ ছেড়েছেন। ভালো ছন্দে ছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার এডেন মারক্রাম। বাঁ হাতি পেসার মার্কো জানসেনও ভালো পারফর্ম করেছেন। সকলের মধ্যে বাড়তি গুরুত্ব পাওয়ার মতোই পারফর্ম করেছেন মিলার। আর আসন্ন সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক তেম্বা বাভুমার সেরা হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারেন মিলারই। ভারতের মাটিতে আইপিএল খেলা এবং ভারত এবং বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনারদের দক্ষতার সঙ্গে সামলানো, মিলারের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ভারতীয় স্কোয়াডে রয়েছেন তিন লেগ স্পিনার কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল এবং রবি বিষ্ণোই। যাদের বিরুদ্ধে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন ডেভিড মিলার।
পাঁচ ম্যাচের টি ২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৯ জুন দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। গত ২ জুন ভারতে পৌঁছেছে দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোয়াড। বেশ কয়েকদিন অনুশীলনও করেছে তারা। ডেভিড মিলার ২ মাসের বেশি সময় কাটিয়েছেন, খেলেছেন ১৬টি ম্যাচই। প্রায় ৬৯ গড়ে করেছেন ৪৮১ রান। সর্বাধিক স্কোর অপরাজিত ৯৪ রানের। এর মধ্যে ৯ ম্যাচে অপরাজিত থেকেছেন। স্ট্রাইকরেট প্রায় ১৪৩। ২টি অর্ধশতরান। ৩২টি বাউন্ডারি ও ২৩টি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন। সর্বাধিক রান সংগ্রাহকদের তালিকায় রয়েছেন পঞ্চম স্থানে। তাঁর সাম্প্রতিক ছন্দকে কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, ব্যাটিং পজিশন কী হবে, দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে আলোচনার অন্যতম বিষয় এটিই। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা বলছেন, ‘দলের সকলেই চাইছি, মিলার বেশি সময় ক্রিজে কাটানোর সুযোগ পাক। যাতে সেট হওয়ার সময় নিয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে পারে। দলে ওর কী ভূমিকা সেটা জানে। ওর ব্যাটিং অর্ডার কী হবে, ওকে কতটা সময় দেওয়া যায়, সেটা আমরা গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করছি।’