কলকাতা: ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা কিন্তু নেহাত কম নয়। এপ্রিলের দুপুরে দরজা-জানালা বন্ধ করে, এসি চালিয়ে ঘরের মধ্যে বসে থাকার সুযোগ তো সবার হয় না, তাই সতর্ক থাকাটাই জরুরি। কাজের প্রয়োজনে রোদ মাথায় নিয়েই বহু মানুষকে রাস্তায় বেরতে হয়। আলিপুল আবহাওয়া দফতরের যা রিপোর্ট তাতে, আগামী কয়েকদিন প্রবল দাবদাহের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। এতটুকু অসাবধান হলে প্রাণহানির আশঙ্কাও থাকতে পারে, এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তাই কী করবেন, কী করবেন না, সেই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই বলেন, গরম বাড়লে প্রথমেই যেটা হয়, সেটা হল হিট ক্যাম্প। সে ক্ষেত্রে পেশীতে ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। তারপর টান লাগে পেশীতে। জলশূন্যতা বোধ হয়। সেই সময় পর্যাপ্ত জল না খেলে ক্রমশ দুর্বল বোধ হয়। আস্তে আস্তে কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতাও হারাতে পারে। অত্যন্ত ক্লান্তি গ্রাস করে গোটা শরীরকে।
এরপরের ধাপই হল হিট স্ট্রোক। শরীরে জলশূন্যতা কারণে মানুষ জ্ঞান হারান। তারপর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
রোদে বেশিক্ষণ না থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। যাঁদের কাজের প্রয়োজনে রোদে থাকতেই হয়, তাঁদের নির্দিষ্ট সময় অন্তর ছায়া বিশ্রাম নিতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে যথেষ্ট জল। আর অসুস্থতার কোনও লক্ষণ দেখা দিলে, নুন-চিনির জল বা ওআরএস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা তো প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, তাই নিজেদের সাবধানে রাখাই জরুরি।’ রোদ থেকে এসি-তে না যাওয়া, জল খাওয়ার মতো কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখার কথা বলেছেন তিনি।
১. গরমে পরতে হবে হালকা সুতির পোশাক।
২. রাস্তায় ফুলহাতা জামা পরে বেরতে হবে।
৩. বাইরে বেরলে ছাতা মাথায় দিতে হবে।
৪. ভেজা কাপড়ে মুখ ঢেকে বেরতে হবে।
৫. দুপুর ১২ টা থেকে ৩ টে প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে বেরবেন না।
৬. প্রোটিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
৭. প্রবল গরম থেকে গিয়ে সোজা এসি চলছে এমন ঘরে ঢুকবেন না।