বিজেপি কর্মীরা একসঙ্গে থুতু ফেললেই ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে যাবে কংগ্রেস!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Sep 03, 2021 | 2:39 PM

BJP Chattisgarh : যদি বিজেপি কর্মীরা পিছন ফিরে স্রেফ থুতু ফেলেন, তাহলেই ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবেন ভূপেশ বাগেল এবং তাঁর মন্ত্রিসভা। মন্তব্য সে-রাজ্যে বিজেপির দায়িত্বে থাকা ডি পুরণ্ডেশ্বরীর।

বিজেপি কর্মীরা একসঙ্গে থুতু ফেললেই ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে যাবে কংগ্রেস!
ডি পুরণ্ডেশ্বরী (ফাইল ছবি)

Follow Us

জগদলপুর : ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা ভোট এখনও দেড় বছর বাকি। কিন্তু রাজনীতির পারদ এখন থেকেই চড়তে শুরু করে দিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে তপ্ত বাক্য বিনিময়। বিজেপি কর্মীরা সবাই মিলে একসঙ্গে থুতু ফেললেই নাকি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস সরকার। হাবে-ভাবে বুঝিয়ে রাখলেন সে-রাজ্যে বিজেপির দায়িত্বে থাকা ডি পুরণ্ডেশ্বরী।

দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে জগদলপুরে ছত্তীসগঢ়ে বিজেপির তিন দিন ব্যাপী চিন্তন শিবির চলছিল। বৃহস্পতিবার তার শেষ দিন ছিল। দলের নিচু তলার কর্মীরা যাতে সর্বশক্তি নিয়ে ছত্তিশগড় কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে আনতে পারেন, তার জন্য ঝাঁঝালো বার্তা দিচ্ছিলেন ছত্তীসগঢ়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ডি পুণ্ডরেশ্বরী। ভূপেশ বাগেলের সরকারকে ২০২৩ সালে সরানোর জন্য গেরুয়া ঝড় তুলতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি নেতৃত্ব।

চিন্তন শিবিরের শেষ দিনে পুরণ্ডেশ্বরী দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের আমি একটি সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে আহ্বান করছি। আপনারা যদি পিছন ফিরে স্রেফ থুতু ফেলেন, তাহলেই ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবেন ভূপেশ বাগেল এবং তাঁর মন্ত্রিসভা। আপনারা যদি একটি সংকল্প নিয়ে কাজ করে যান, তাহলে আমি নিশ্চিত ২০২৩ সালের নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসবেই।”

একইসঙ্গে কংগ্রেসের অন্দরে স্বজনপোষণ নিয়েও আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি পুরণ্ডেশ্বরী। বিজেপিতে নিচু তলার কর্মীদেরও যে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয় তা বোঝাতে নাম না করে কংগ্রেসের গান্ধি পরিবারে প্রতি অন্ধভক্তির কথাও তুলে ধরেন। বলেন, “যদি প্রশ্ন করা হয় কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি কে হবেন, তাহলে তার উত্তর তৎক্ষণাৎ এসে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপি বিভিন্ন নীতি-আদর্শের মানুষকে নিয়ে চলে। বিজেপির কর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে গরিব, অসহায়, পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করে। বিজেপিতে প্রতিটি কর্মীকে সম্মান দেওয়া হয়। তিনি কোনও ছোট শহর বা গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন কি না, এসব কিছু এখানে দেখা হয় না। যে যোগ্য তাঁকেই দলের সভাপতি করা হয়।” ছত্তীসগঢ়ে যে পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে, তাও এদিন বুঝিয়ে দেন বিজেপি নেত্রী।

এদিকে পদ্ম শিবির থেকে এই ঝাঁঝালো মন্তব্যের পর চুপ করে বসে থাকতে একেবারেই নারাজ কংগ্রেস। কংগ্রেসের কাছেও এবারের ভোটের লড়াইটা বেশ কঠিন হতে চলেছে ছত্তীসগঢ়ে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বস্তার সহ ছত্তীসগঢ়ের বেশ কিছু এলাকার মানুষ বর্তমান কংগ্রেস সরকারের প্রতি বেশ বিরক্ত। তাই বিজেপি যে প্রতিষ্ঠান-বিরোধী পালে হাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করছে, তা বেশিদূর গড়াতে দিতে চাইছেন না ভূপেশ বাগেল ।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভূপেশ বাগেল এই ধরনের ‘কুরুচিকর’ মন্তব্যের নিন্দা করেছেন। তাঁর কথায়, “এই ধরনের মন্তব্য বিজেপির থেকে আশা করিনি। এই ধরনের মন্তব্যের কী উত্তর দেবে? আমি ভাবিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পুণ্ডরেশ্বরীর মানসিকতা এতটা নেমে যাবে। যদি কেউ আকাশের দিকে থুতু ছেটায়, তাহলে সেই থুতু নিজের গায়ে এসেই পড়ে।”

২০১৮ সালে কংগ্রেস ছত্তীসগঢ়ের তখতে বসার আগে ১৫ বছর বিজেপির সরকার ছিল সেখানে। উল্লেখ্য, ডি পুরণ্ডেশ্বরী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন। কংগ্রেসের আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে যখন গোটা দেশে মোদী হাওয়া, সেইসময় পুণ্ডবেশ্বরী কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যান। আরও পড়ুন : অমরিন্দর- সিধুর দ্বৈরথ! সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাই কম্যান্ড

Next Article