অসলো : নরওয়ে চেস টুর্নামেন্টে (Norway Chess Tournament) একটা হারে বিশ্বনাথনের ‘আনন্দ’ বদলে গিয়েছিল সাময়িক হতাশায়। রাজার মতোই প্রত্যাবর্তন প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের। ভারতের কিংবদন্তি দাবাড়ু পঞ্চম রাউন্ডে হারালেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনকে (Magnus Carlsen)। চতুর্থ রাউন্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েসলি সো’র কাছে সাডেন ডেথে হারেন বিশ্বনাথন আনন্দ (Viswanathan Anand)। তবে পয়েন্ট তালিকায় যুগ্মভাবে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন। এদিন বিশ্বের এক নম্বর ম্যাগনাস কার্লসেনকে ক্লাসিক গেমে আর্মাগেডনে হারিয়ে এককভাবে শীর্ষে আনন্দ। অভিজ্ঞতা, বুদ্ধিমত্তা, হিসেবে চালে বাজিমাত করেন। বিশ্বের এক নম্বরও সহজে হার মানেননি। বহু কষ্টে গেম ৪০’এ ড্র করেন। নরওয়ে চেস টুর্নামেন্টে ক্লাসিকাল ইভেন্ট (Classical Event) ম্যাচ ড্র হলে আর্মাগেডন সাডেন ডেথে ফয়সালা হয়। সেখানেই রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেন আনন্দ। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ জেতেন ৫০ চালে। এদিনের জয়ে তারকা খচিত প্রতিযোগিতায় সকলকে ছাপিয়ে শীর্ষে বিশ্বনাথন আনন্দ।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কার্লসেনের দেশেই তাঁকে হারানো বিশেষ অনুভূতি বিশ্বনাথন আনন্দের কাছে। পুরো ম্যাচেই দাপট বজায় রেখে নরওয়ের দাবাড়ু কার্লসেনকে ব্যাকফুটে রেখেছেন। যদিও, কোনওরকমে ফেরার রাস্তা খুঁজে নেন কার্লসেন। হার না মানা মানসিকতা ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা করেন। ৪০ চালে গিয়ে ড্র করতে সমর্থ হন কার্লসেন। সেখান থেকে অবশ্য তাঁকে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেননি আনন্দ। আরমাগেডন সাডেন ডেথে ‘নো রিস্ক, নো গেইন’ মানসিকতায় এগোন ভারতীয় কিংবদন্তি দাবাড়ু। ঝুঁকি নেন এবং সাফল্যও পান। ৫০ চালে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নেন বিশ্বনাথন আনন্দ।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ক্লাসিকাল ইভেন্টের আগে ব্লিটজ ইভেন্টেও কার্লসেনকে হারিয়েছিলেন বিশ্বনাথন আনন্দ। ক্লাসিকাল ইভেন্টে আনন্দ দারুণ ছন্দে ছিলেন। বিশ্ব দাবায় উল্লেখযোগ্য নাম ফ্রান্সের ম্যাক্সিম ভেসিয়ের-লাগরাভে, বুলগেরিয়ার ভেসেলিন টপালভ এবং চিনের হাও ওয়াংদের টানা হারিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতায় আনন্দের একমাত্র হার চতুর্থ রাউন্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েসলি সো’র কাছে। পঞ্চম রাউন্ড শেষে ১০/১৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় শীর্ষস্থানে বিশ্বনাথন আনন্দ। অন্যদিকে, ভারতীয় কিংবদন্তির কাছে হারলেও ৯.৫/১৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রইলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেন।