নয়া দিল্লি: এক টাকাও নাকি নেই ধনকুবেরে মুকেশ অম্বানীর ছোট ভাইয়ের কাছে। ২০২০ সালেই নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন অনিল অম্বানী (Anil Ambani)। আর্থিক দেনার হাত থেকে বাঁচাতে সেই সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বড় দাদা মুকেশ অম্বানী। নিজেকে ‘নিঃস্ব’ বলে দাবি করলেও অনিল অম্বানীর কাছে নাকি এখনও বিপুল সম্পত্তি রয়েছে, এমনটাই সূত্রের খবর। সম্প্রতিই আয়কর বিভাগের মুম্বইয়ের তদন্তকারী শাখার তরফে রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল অম্বানীর বিরুদ্ধে কালো টাকা আইন ২০১৫ (Black Money Act 2015) মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, অনিল অম্বানীর নামে বিদেশে একাধিক অঘোষিত সম্পত্তি ও বিনিয়োগ রয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আয়কর বিভাগের তদন্তকারী শাখার মুম্বই ব্রাঞ্চ বিদেশে অঘোষিত সম্পত্তি ও বিনিয়োগের খোঁজ মিলেছে। জানা গিয়েছে, রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল অম্বানীর নামেই এই সম্পত্তি রয়েছে। বিদেশে এই সম্পত্তির খোঁজ মিলতেই কালো টাকা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে প্রথম অনিল অম্বানীর এই অঘোষিত বৈদেশিক সম্পত্তির খোঁজ মেলে। এরপরই নোটিস জারি করা হয়েছে। অর্ডারে বলা হয়েছে, বিদেশে যে অঘোষিত সম্পত্তি ও বিনিয়োগের খোঁজ মিলেছে, তার পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, বাহামা ও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে একাধিক সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে।
এদিকে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আর্থিক দেনার দায়ে জর্জরিত অনিল অম্বানী ব্রিটেনের আদালতে জানান যে তিনি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন এবং তাঁর নিট মূল্য শূন্যে দাঁড়িয়েছে। একসময় ভারতের অন্যতম ধনী ব্যক্তির তালিকায় থাকা অনিল অম্বানীর মাথায় কয়েক হাজার কোটি টাকার দেনা চাপে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই। চিনের তিনটি ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে প্রথমবার যখন তাঁর বিদেশে সম্পত্তির খোঁজ মিলেছিল, সেই সময়েই আয়কর বিভাগের তরফে তাঁর এই সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু সেই সময় কোনও জবাব মেলেনি। পরে ২০২০ সালে অম্বানী নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে দেন ঋণের দায় থেকে মুক্তি পেতে।