ডুয়ার্স: রাতভর দাপিয়ে বেরিয়েছে সর্বত্র। রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর ডুয়ার্সের মোগলকাটা চা বাগানে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়ায় একটি বাইসন। রাতে মৃত্যু বাইসনের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সোমবার সন্ধ্যায় ডুয়ার্সের ডায়ানা জঙ্গল থেকে দুটি দল ছুট বাইসন ঢুকে পড়েছিল গোগোলকাটা শ্রমিক বস্তিতে। রাতের বেলা বন কর্মীরা একটি বাইসনকে তাড়িয়ে জঙ্গলে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হলেও। অন্য বাইসনটি গ্রামের মধ্যেই থেকে যায়। কখনও গোয়ালঘরে, কখনও শোওয়ার ঘরের পাশে গিয়ে ঢুকে পরে বাইসনটি। রাতভর গ্রামের মধ্যে দাপিয়ে বেড়ায়। আতঙ্কে ঘুম উড়ে গিয়েছিল চা শ্রমিকদের। রাতভর চা বাগানে পাহারা দেয় বিন্নাগুরি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মীরা। রাত দুটো নাগাদ মগোলকাটা চা বাগানের ৬৯ নম্বর সেকশনে নালার মধ্যে পরে গিয়ে মৃত্যু হয় পুরুষ বাইসনটির। সকালবেলা বাইসনটির মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় গরুমারা জাতীয় উদ্যানে, সেখানে ময়নতদন্ত করা হবে বলে বনদফতর সূত্রে খবর।
গত বৃহস্পতিবারও কিলকোট চা বাগানের বাসিন্দারা একটি বাইসন দেখতে পান। সাতসকালে বাইসনের খবর ছড়াতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয় বাগানে। বাইসনটি বাগানের বিভিন্ন শ্রমিক মহল্লায় ঢুকে দাপিয়ে বেড়াতে থাকে। সেইসময় কুঞ্জ লাইনে চৈতু মাহালি, তাঁর স্ত্রী লালকি মাহালি ও নাতি রণক মাহালিকে আক্রমণ করে বাইসনটি। স্থানীয় বাসিন্দারা তিন জনকেই উদ্ধার করে নিয়ে যায় চালসার মঙ্গলবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। চৈতু মাহালির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থলে যান খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মীরা ও মেটেলি থানার পুলিশ। দিনভর বাইসনটি কুঞ্জলাইন এলাকার চা বাগানের মধ্যেই ঘোরাফেরা করতে থাকে। তাকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা করেন বনকর্মীরা। একটি বাড়ির ভিতরেও ঢুকে পড়ে বাইসনটি। খবর দেওয়া হয় জলপাইগুড়ির বনকর্মীদেরও। সেখান থেকে বনকর্মীরা এসে বাইসনটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই ঝোপের মধ্যে বাইসনটির মৃত্যু হয়।