প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে নাগ পঞ্চমী পালন করা হয়। বাংলায় বহু প্রাচীনকাল থেকেই নাগপঞ্চমীতে পুজো হয়ে আসছে। এ বছর নাগ পঞ্চমী তিথি ২৮ জুলাই বুধবার উদযাপিত হবে। নাগ পঞ্চমীর দিন নাগ দেবতা ও মনাসর পুজো করা হয়ে থাকে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিন নাগ দেবতার পুজো করলে রাশিফলে রাহু ও কেতু সম্পর্কিত দোষ কেটে যায়। এছাড়া গ্রাম-গঞ্জে বিশ্বাস করা হয়, এই দিন সাপের ভয় ও সাপের কামড় থেকে মুক্তি পেতে নাগ পঞ্চমীতে কালসর্প যোগ পুজো করা হয়। এই দিনটি হিন্দুদের অত্যন্ত পবিত্র একটি তিথি বলে মানা হয়। সাপের হাত থেকে পরিবারকে রক্ষা করতে দেবী মনসার পুজো করা হয়।
পৌরাণিক বিশ্বাস মতে, এই তিথিতে নাগ বা সর্পকূল নাগলোক বা পাতাললোক থেকে মানবজাতির উদ্দেশে আর্শীবাদ প্রেরণ করা হয়। ভারতের সনাতন হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই পবিত্র তিথিতে আশীর্বাদের ফলে পারিবারিক ও ব্যক্তি জীবনের সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি বিরাজ করে।
আরও পড়ুন: Guru Purnima 2021: গুরু পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়, জানেন?
পুজাবিধি
নাগপঞ্চমী দিনটি হিন্দুদের কাছে অন্য়তম পবিত্র একটি তিথি। এই দিনটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নাগদেবতার আরাধনা করা হয়। হিন্দুদের বিশ্বাস, লুকিয়ে থাকা সম্পদকে রক্ষা করনে নাগদেব। নাগপঞ্চমীর দিন পুজো করলে জীবনে ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধি লাভ করা যায়। তাই এইদিন নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করলে মনের ইচ্ছে পূরণ হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে, যে যে রাশিতে কালসর্প দোষ রয়েছে, সেই সেই রাশির জাতকরা নিয়ম মেনে নাগদেবের পুজো করলে কেতু ও রাহুর ত্রুটি কেটে যায়। কালসর্প দোষ এড়াতে নাগ পঞ্চমীর দিন উপবাস রাখেন অনেকে।
নাগ চতুর্থীর দিন থেকেই নাগপঞ্চমীর উপবাসের প্রস্তুতি শুরু করা হয়। পঞ্চমী তিথির সকালে উঠে স্নান করে পরিস্কার ও নতুন কাপড় পরে নাগদেবের মূর্তি বা ছবি পুজো করুন। হলুদ, সিঁদুর, নৈবেদ্য ও ফুল অর্পন করে নাগদেবের পুজো সারুন। এই পুজোর সময় সামনের আসনে ঝুড়ি বা পেতে দিতে হয়। বলাই বাহুল্য এই পুজোর অন্যতম উপকরণ হল দুধ ও কলা। পুজো শেষে দেবতার আরতি করার নিয়ম। নাগ পঞ্চমীর ব্রতকথা পাঠ করে পুজো শেষ করুন।