নয়া দিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতেও সেভাবে আঁচ পড়েনি, তবে করোনার পরই শুরু হয় দলে দলে কর্মী ছাঁটাই। গুগল, মাইক্রোসফট, আমাজন, মেটা-র মতো সংস্থাতেও বহু কর্মীকে রাতারাতি ছাঁটাই করা হয়। প্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে কর্মীরা রীতিমতো অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় ভুগতে থাকেন। দেশে ও বিদেশে সর্বত্রই একই ছবি দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খরচ কমানোর কথা বলে কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। বিজনেস টুডে-র রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত অর্থাৎ গত সাত মাসে বিভিন্ন প্রযুক্তি সংস্থায় প্রায় ২.২৬ লক্ষ কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। এখনও বছরের চার মাস বাকি আছে।
প্রযুক্তি সংস্থার ক্ষেত্রে ২০২২-এ মোট ছাঁটাই হয়েছিল ২ লক্ষের কিছু বেশি। আর এবছর সাত মাসেই তার থেকে বেশি ছাঁটাই হয়েছে। এই সংখ্যা বছর শেষে বেড়ে ৩ লক্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংস্থাগুলির দাবি, মাত্রাতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির কারণেই এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির জন্যই অনেক দেশে অর্থনীতির গতিও রুদ্ধ হয়েছে। তৈরি হয়েছে আর্থিক সমস্যা।
আসলে করোনার পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে একটা সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ২০২১ সাল থেকেই খরচ কমানোর নামে বহু সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সেটাই ক্রমশ বড় আকার নিচ্ছে।
কবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে, সেই অপেক্ষায় রয়েছেন কর্মীরা। এভাবে পরপর ছাঁটাই হওয়ার ফলে বেকারত্ব যেভাবে বেড়েছে, তা সামাল দিতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।