বীরভূম: রামপুরহাট হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে শিশু চুরির ঘটনায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার শিশুটির মাকে রামপুরহাট (Rampurhat) থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। এক মহিলার স্কেচ আঁকানো হবে। এমএসভিপি সাতজনের টিম গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি। রামপুরহাট থানায় এসেছেন সিআইডি-র এক প্রতিনিধিও। তিনিও মহিলার সঙ্গে কথা বলেন।ঘটনাটি ডিসেম্বর মাসের। গত ১০ ডিসেম্বর, বীরভূমেরই মুরারই থানা এলাকার বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা সন্তানসম্ভবা লক্ষ্মী বিবিকে রামপুরহাটের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে (Rampurhat Medical College Hospital) ভর্তি করানো হয়। ১৯ ডিসেম্বর, সোমবার তিনি এক শিশুপুত্রের জন্ম দেন।
শিশুটির মায়ের বয়ান অনুযায়ী, ২১ ডিসেম্বর ওই তিন দিনের শিশুকে নিয়ে শুয়ে ছিলেন লক্ষ্মী। শিশুটির দিদাও পাশে ছিলেন। দিদা চা-বিস্কুট কিনতে বাইরে যান। শিশুটির মায়ের বয়ান অনুযায়ী, কিছুক্ষণ পর এক অচেনা মহিলা তাঁর কাছে এসে বলেছিলেন, দিদা শিশুটিকে বাইরে নিয়ে যেতে বলেছেন। ওই মহিলার কথায় বিশ্বাস করেন শিশুটির মা। ওই শিশুটিকে নিয়ে বেরিয়ে যান অজ্ঞাতপরিচয় মহিলা। কিছুক্ষণ পর শিশুটির দিদা খালি হাতে ফেরেন। তখনই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। কিন্তু ওই অচেনা মহিলার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
রামপুরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই মহিলাকে চিহ্নিত করা যায়। তবে মাথায় আঁচল থাকায় মুখ দেখা যাচ্ছিল না।
এত বড় হাসপাতাল থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে কী ভাবে এক জন মহিলা প্রসূতি বিভাগে ঢুকে শিশু চুরি করলেন তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঘটনার পরই এম এস ভিপি সাত জনের টিম গঠন করে তদন্ত শুরু করে।
এক মাস পেরিয়ে গেলেও ওই শিশুটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। লক্ষ্মী বিবিকে মঙ্গলবার রামপুরহাট থানায় ডেকে পাঠানো হয়। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন শিশুর পরিজনরা। হাসপাতালের ‘মেডিক্যাল সুপারিনটেনড্যান্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল’ জানিয়েছেন, তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এই ধরনের ঘটনা কখনই কাম্য নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।