কখনও কপালের দু’পাশে দাগছোপ, আবার কখনও ঘাড়ের কাছে কালো ছোপ—এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন কমবেশি সকলেই হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ত্বকের উপর দাগছোপ দেখা দেয়। গর্ভাবস্থা, পিসিওএস, থাইরয়েড ও মেনোপজের জেরে ত্বকের উপর দাগছোপ জোরাল হয়। এছাড়া ব্রণর দাগ, রোদে পোড়া দাগ ও আনইভেন স্কিন টোনের সমস্যা রয়েছে। দীর্ঘক্ষণে রোদে থাকলে ট্যানের পাশাপাশি দাগছোপ দেখা যায় ত্বকে। এগুলো অকাল বার্ধক্যের লক্ষণ। আর এগুলো ক্রিম মেখে দূর করা যায় না।
অনেক সময় ত্বকের উপর প্রদাহ তৈরি হলে কালো দাগ তৈরি হয়। এগুলো ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে। এমন দাগছোপ ব্রণ ও একজিমার কারণেও দেখা দেয়। যে কারণেই দাগছোপ তৈরি হোক, এগুলো দূর করতে গেলে আপনাকে আয়ুর্বেদের সাহায্য নিতে হবে। একমাত্র আয়ুর্বেদই প্রাকৃতিক উপায়ে দাগছোপ কমাতে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদ বলছে, দেহে তরলের ঘাটতি থাকলে তার প্রভাব ত্বকের উপর পড়ে। ত্বকের প্রদাহ কমানোর জন্য এবং দ্রুত ক্ষত নির্মূলের জন্য হাইড্রেশন জরুরি। তাই প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে আয়ুর্বেদ। এছাড়াও বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা দিয়ে দাগছোপ দূর করতে পারেন। সেগুলো কী-কী দেখে নিন।
ফেসিয়াল অয়েল: নিয়মিত ত্বক মালিশ করলে সহজেই দাগছোপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তেল দিয়ে ত্বক মালিশ করলে মুখে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। এতে দাগছোপ ধীরে ধীরে কমে যায়। ফেসিয়াল অয়েল হিসেবে নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল, চন্দনের তেল, ভিটামিন সি অয়েল কিংবা ভিটামিন ই অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
টমেটোর ফেসপ্যাক: টমেটোর মধ্যে লাইকোপেন রয়েছে, যা ত্বককে ইউভি রশ্মির প্রভাব থেকে রক্ষা করে। দাগছোপের সমস্যা দূর করতে টমেটোর ফেসপ্যাক সবচেয়ে বেশি উপযোগী। টমেটো পেস্ট করে এতে বেসন মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। ২০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক ট্যানও পরিষ্কার করে দেবে।
হলুদের পেস্ট: আয়ুর্বেদে সবসময় হলুদকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ১ চামচ বেসন, টক দইয়ের সঙ্গে ১ চা চামচ হলুদ মিশিয়ে মুখে মাখুন। এটি আনইভেন স্কিন টোন থেকে শুরু করে ব্রণর সমস্যা দূর করে দেবে। নিয়মিত হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের প্রদাহ কমবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে।