বয়স বাড়লে তার ছাপ চোখ-মুখে পড়বেই। বলিরেখা, ত্বক কুঁচকে যাওয়া, জেল্লা কমে আসা এই সবই তার লক্ষণ। ত্বকে কোলাজেনের পরিমাণ কমে গেলেই এমনটা হবে। তবে যদি অকালে মুখে আসে বয়সের ছাপ তাহলে? কেবল কোলাজেনের ঘাটতি নয়, সঙ্গে দেদার অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, দূষণ, ধুমপানের মতো অভ্যাস কিন্তু অকালে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। ত্বক শিথিলতা হারায়। কিন্তু সেই জেল্লা ফেরাতে গেলে ভরসা জীবনযাপনে পরিবর্তন সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন। ৪ খাবার কিন্তু সেই ক্ষেত্রে হয়ে উঠতে পারে দারুণ কার্যকরী।
মাছ – মাছে অ্যামিনো অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। তা ছাড়া জিঙ্ক ও কপারের মতো খনিজ পদার্থও থাকে। শরীরে কোলাজেন উৎপাদন করতে এই প্রকার খনিজের প্রয়োজন। এগুলি কোলাজেন প্রোটিন ধ্বংস হতে বাধা দেয়। এর বাইরে মাছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও থাকে, যা ত্বকের জেল্লা বাড়াতে যা দারুণ উপকারী।
আনারস – অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আনারস যত্ন নেয় শরীরের। এতে জলের পরিমাণও অনেকটা বেশি। শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে আনারস দারুণ কার্যকর। ত্বকের প্রতিটি কোশ সচল রাখতেও আনারস কার্যকর। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আনারস, প্রত্যক্ষ ভাবে শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের হার বৃদ্ধি করে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বার করে দিয়ে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে খেতে পারেন আনারস।
লেবুজাতীয় ফল – এই প্রকার ফলে ভাল মাত্রায় ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা প্রত্যক্ষ ভাবে শরীরের কোলাজেন উৎপাদনের হার বৃদ্ধি করে। লেবুজাতীয় ফলে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরে জমে থাকা টক্সিন বার করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে নিয়মিত পাতে রাখতেই হবে লেবুজাতীয় ফল।
সবুজ শাকসব্জি – শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচকগুলির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে ম্যাঙ্গানিজ। সবুজ শাকসব্জিতে প্রচুর মাত্রায় ম্যাঙ্গানিজ থাকে। তাই ত্বক ভাল রাখতে রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে পালং, বাঁধাকপি, ব্রকোলির মতো শাকসব্জি।