তীব্র গরম, তাপপ্রবাহে জ্বলে-পুড়ে ছারখার বাংলা। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এই চাঁদিফাটা গরমে শরীরকে সুস্থ রাখাই চ্যালেঞ্জের। শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য টক দই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে পুষ্টিবিদেরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাতের সঙ্গে টক দই খাচ্ছেন। তার সঙ্গে অন্য পদও রয়েছে। ভুল খাবারের সঙ্গে টক দই খেলে কিন্তু বিপদ। এমন অনেক সবজি রয়েছে, যার সঙ্গে টক দই খেলে বদহজমের সমস্যা বাড়তে পারে।
টমেটো: টক দই দিয়ে মাংস ম্যারিনেট করে রাখলে, কষার সময় আর টমেটো দেবেন না। আবার পাতে যদি টমেটোর চাটনি থাকে, টক দই খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এই দুই খাবারের মধ্যে অ্যাসিডিক উপাদান রয়েছে। একসঙ্গে খেলে হজমের গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে।
শসা: রায়তা বানানোর সময় অনেকেই টক দইয়ে শসা মেশান। আবার ওজন কমাতে গিয়েও অনেকে দই-শসা খান। কিন্তু এই দুই খাবার একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। শসার মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি এবং টক দই ঠান্ডা প্রকৃতির হয়। এতে হজমের গণ্ডগোল বাড়ে। আয়ুর্বেদের মতে, শসা ও দই একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়।
করলা: করলা তেঁতো স্বাদের জন্য অনেকেই এড়িয়ে চলেন। তবে, এই আনাজের উপকারিতা কম নয়। কিন্তু টক দইয়ের সঙ্গে করলার তৈরি পদ না খাওয়াই ভাল। এতে গ্যাস, অম্বল, পেট ফাঁপার সমস্যা বাড়তে পারে।
পেঁয়াজ: এই গরমে টক দই যেমন শরীরকে ঠান্ডা রাখে, একই কাজ করে কাঁচা পেঁয়াজও। কিন্তু এই দুই খাবার একসঙ্গে খাবার পাতে না রাখাই ভাল। টক দইয়ের সঙ্গে পেঁয়াজ খেলে এগুলো সহজে হজম হবে না।
পালং শাক: গরমে খুব একটা পালং শাক বাজারে পাওয়া যায় না। তবু, টক দইয়ের সঙ্গে এই শাক খাবেন না। টক দইয়ের সঙ্গে পালং শাক খেলে অক্সালেট গঠিত হয়, যা দেহে ক্যালশিয়াম শোষণে বাধা দেয়। এখান থেকে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।
মুলো: মুলোও গরমের আনাজ নয়। তাও দইয়ের সঙ্গে মুলো খাবেন না। মুলো গ্যাসের সমস্যা বাড়ায়। আবার যদি এর সঙ্গে টক দই খান, পেটের সমস্যা আরও বাড়বে।