কাঠফাটা রোদে বেরোলে ত্বক পুড়তে বাধ্য। মুখে সানস্ক্রিন মেখে রাস্তায় বেরোন। কিন্তু তাতেও ট্যানকে ১০০ শতাংশ প্রতিরোধ করা যায় না। মুখকে কোনও রকমে বাঁচিয়ে নিলেও হাত-পায়ের পাতাকে ট্যানের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখা যায় না। দেহের কোনও-কোনও অংশ কালো, ট্যান পড়ে রয়েছে—এটা দেখতে কারওই ভাল লাগে না। আর পার্লারে গিয়ে ট্যান তুলতে গেলে গাঁটের কড়ি খসাতে হয়। এই অবস্থায় কাজে আসতে পারে হোমমেড স্ক্রাব। ট্যান তুলতে কাজে লাগান ডি-ট্যান স্ক্রাবকে। রান্নাঘরে থাকা সাধারণ সামগ্রী দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন এই ডি-ট্যান স্ক্রাব।
যে উপায়ে বাড়িতে বানাবেন ডি-ট্যান স্ক্রাব:
ডি-ট্যান স্ক্রাব বানানোর জন্য প্রয়োজন ১ কাপ বেসন, ১ কাপ চন্দন পাউডার, ১ কাপ টক দি, ২ চামচ তাজা অ্যালোভেরা জেল, ২ চামচ চিনির গুঁড়ো, ১/২ চামচ কফির গুঁড়ো, ১/২ চামচ হলুদের গুঁড়ো আর ১/২ চামচ লেবুর রস। সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন ডি-ট্যান স্ক্রাব। এই মিশ্রণটি ত্বকের উপর লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা হাতে স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন। দেহের যে সব অংশে ট্যান পড়েছে, সেখানে মাখুন এই স্ক্রাব। তবে, মুখে এই স্ক্রাব ব্যবহার করবেন না। মুখের জন্য এই স্ক্রাব নয়। হাত-পা, ঘাড়-গলায় ব্যবহার করতে পারেন। এই ডি-ট্যান স্ক্রাব সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করতে পারেন।
হোমমেড ডি-ট্যান স্ক্রাব ব্যবহারের উপরকারিতা:
এই বডি স্ক্রাব ত্বকের উপর প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বক থেকে মরা কোষের স্তর পরিষ্কার করে দিয়ে ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে দেয়। বেসনের মধ্যে জিঙ্ক রয়েছে, যা দাগছোপ, ফুসকুড়ি, ব্রণ ও বলিরেখা দূর করতে সক্ষম। অন্যদিকে, টক দই, চন্দন গুঁড়ো ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। এই বডি স্ক্রাবের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। বাড়িয়ে তোলে ত্বকের সৌন্দর্য।