মাঝপথে জৈষ্ঠ্য, তবুও গরম কমার কোনও রকম নামগন্ধ নেই। কালবৈশাখি, বৃষ্টিও তুলনায় কম। বরং বাতাসে অনেক বেশি আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি। তাই ঘাম, বিরক্তি আর অস্বস্তি থেকে আপাতত কোনও মুক্তি নেই। ফ্যানের হাওয়াও গায়ে লাগছে না। বাড়িতে থেকে ঘাম, বাড়ির বাইরে বেরোলে ঘাম, সেই সঙ্গে উপরি পাওয়া দূষণ তো আছেই। আর এর প্রভাব পড়ে ত্বকেও। যে কারণে গরমে ত্বক শুকনো হয়ে যায় কারণ ভেতর থেকে যাবতীয় আর্দ্রতা টেনে নেয় প্রকৃতি। ফলে ত্বকে ব্রন, র্যাশ, অ্যাকনে এসবের সমস্যা লেগেই থাকে। গরমে ঘাম বেশি হয়, সেই ঘাম ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে তা ত্বকের মুখ বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও গরমে অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বাড়ে। তাই ডায়াটেশিয়ান রুজুতা দিওয়েকর দিলেন দারুণ কিছু টিপস। যে নিয়ম মেনে চলতে পারলে ত্বক থাকবে ফ্রেশ এই ভরা গরমেও। সঙ্গে থাকবে না ব্রন, অ্যাকনের সমস্যাও।
তাই এই সময় কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে। বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরলেই আগে মুখ ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। সানস্ক্রিন মেখে তবেই বাইরে বেরোন। এছাড়াও বাড়িতে থাকলে সানস্ক্কিন ব্যবহার করুন। মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন বারবার। এতে যেমন ক্লান্তি দূর হয় তেমনই কিন্তু আরাম পাওয়া যায়। এছাড়াও পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর গরমে সুস্থ থাকতে দিচ্ছেন দারুণ ৩ পরামর্শ। রোজ সকালে উঠে এক গ্লাস মৌরি ভেজানো শরবত খেতে বলছেন তিনি। এতে পেট ঠান্ডা থাকে। গরমের দিনে শরীর বেশি গরম হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে কাজে আসে এই মৌরির জল। আর পেট পরিষ্কার রাখতেও কিন্তু মৌরি উপকারী। গ্রাম বাংলায় ভেটিভার নামের একপ্রকার ঘাস পাওয়া যায়। এই ঘাসও বহুযুগ ধরে আয়ুর্বেদে ব্যবহার করা হয়। ভেটিভার জলে ভিজিয়ে খেতে পারলে পেট ঠান্ডা থাকে। গরমে তাড়াতাড়ি শরীর ঠান্ডা রাখতে এই ভেষজটির কোনও তুলনা নেই।
গরম মানেই চিটচিটে ঘাম। ঘামের গন্ধ দূর করতে অনেকেই বেশিবার স্নান করেন। বিভিন্ন সুগন্ধী ব্যবহার করেন। তবুও যেন আরাম পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে খুব ভাল হল চন্দন আর গোলাপ জল। স্নানের জলে চন্দন পাউডার মিশিয়ে দিন। ফেলে দিন কয়েক ফোঁটা গোলাপ জলও। এবার সেই জলে স্নান সেরে নিন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। ত্বকও হবে উজ্জ্বল। গরমে ত্বকের নানা সমস্যা হয়। সেই সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে। ব্রণ, অ্যাকনের সমস্যাও থাকবে দূরে।