বর্ষার এখনও নাম গন্ধ নেই। কিন্তু তার আগেই চুলের বেহাল দশা। নামী-দামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও কোনও লাভ হচ্ছে না। উল্টে চুল পড়া, খুশকির সমস্যা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। এই অবস্থায় আপনাকে সাহায্য করতে পারে কারি পাতা। হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনছেন। রান্নায় কারি পাতা ব্যবহার করলে যেন স্বাদ বহুগুণ বেড়ে যায়। একই ভাবে কারি পাতা চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। শুধু আপনাকে জানতে হবে সঠিক ভাবে কারি পাতা ব্যবহারের উপায়।
চুল পড়ার মূল কারণ ফলিকোল নষ্ট হয়ে যাওয়া। এর পাশাপাশি নিয়মিত দূষণ, তেলতেলে স্ক্যাল্প এবং সঠিক যত্ন না নেওয়ার কারণে চুলের অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হতে শুরু করে। ফলে ঝরতে শুরু করে চুল। এই সব সমস্যার জন্য ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্য নেওয়া উচিত। এই ক্ষেত্রে কারি পাতার উপকারিতা আপনি গুণে শেষ করতে পারবেন না।
চুল পড়ার সমস্যা যদি দূর করতে চান তাহলে কারি পাতার তেল ব্যবহার করতে পারেন। ৩-৪ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েকটা কারি পাতা দিয়ে ফুটিয়ে দিন। কিছুক্ষণ অল্প আঁচে রেখে গরম করে নিন। তেলটা ঠান্ডা হলে সেটা দিয়ে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট মতো রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করলে আপনার চুল পড়া ধীরে ধীরে কমে যাবে।
দূষণের কারণে চুল তার প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। এর পর হাজার একটা প্রসাধনী পণ্য ব্যবহার করার পরও সেই উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আসে না। নিস্তেজ চুলের দাওয়াই হতে পারে কারি পাতার হেয়ার প্যাক। এর জন্য কয়েকটা কারি পাতা বেটে নিন। তাতে ৫ টেবিল চামচ টক দই যোগ করুন। এটা ভাল করে চুলে ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। এতে চুলের রুক্ষতা দূর হয়ে যাবে।
চুলকে নরম করে তুলতে আপনি মেথির সঙ্গে কারি পাতার পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আগের দিন রাত থেকে মেথি দানা ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ওই ভেজানো মেথির সঙ্গে কারি পাতা দিয়ে ভাল করে বেটে নিন। একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করবেন। এরপর এটা চুল ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাখবেন। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। এতে চুলে তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা চলে আসবে।