মুখের ত্বকের যেমন পরিচর্চা প্রয়োজন তেমন মুখের সবচেয়ে কোমল অংশেরও বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। শুষ্ক ও ফেটে যাওয়া ঠোঁটের চেয়ে লজ্জাজনক কিছু হয় না। শীতের মরসুমে বেশিরভাগ মানুষের ঠোঁটে সিক যত্ন নেন না। ফলে ঠোঁট শুকিয়ে গিয়ে ফেটে যায়। গ্রীষ্মে বা বছরের যে কোনও সময়ে বিভিন্ন কারণে ঠোঁট শুষ্ক হতে পারে। অনেকের আবার সারা বছর ধরেই শুষ্ক ঠোঁট থাকে। ঠোঁটের ত্বক পাতলা হওয়ায় দূষণ, পরিবেশন ও আবহাওয়া ও সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব বেশি পড়ে। তাই রুটিন মেনে ঠোঁটের যত্ন নিলে সুন্দর ও গোলাপী ঠোঁট আপনারও হতে পারে। বিদায় নেবে শুষ্কতাও।
অনেক বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ অনুযায়ী শুষ্ক ঠোঁট নিরাময়ের কিছু সহজ ও স্বাভাবিক উপায় রয়েছে. সেগুলিই এখানে দেওয়া রইল…
হালকা স্ক্রাব সবসময় সাহায্য করে
প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট স্ক্রাব করতে বাড়িতেই করুন। প্রথমে ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করুন। তাতে ত্বকের মৃত কোষগুলির অপসারণ করতে সহায়তা করে। ঠোঁটের ত্বকে স্ক্রাব করবেন কীভাবে? খুব সহজ একটি উপায়। চিনি, মধু, ও কিছুটা পরিমাণ অ্য়ালোভেরা জেল মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ।
হাইড্রেটিং মাস্ক
বাজারে এক টন লিপ হাইড্রেটিং মাস্ক পাওয়া যায়। নিজের পছন্দের বেছে নিতে পারে। ঠোঁট স্ক্রাব করার পর এটি ব্যবহার করুন। সিলিকন মাস্ক কিনতে পারেন। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া দারুণ ট্রেন্ড হওয়ায় অনেকেই এটি ব্যবহার করছেন। এছাড়া কোলাজেন লিপ মাস্ক বেছে নিতে পারেন।
লিপ বাম ও তেল
শুষ্ক ঠোঁটের জন্য ঠোঁটের ত্বকে লিপ বাম ও তেল ব্যবহার করলে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন। লিপ বাম খুব সহজেই ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে, তাই এটি সবসময়ের সঙ্গী হলে তা বুদ্ধিমানের মতো কাজ হবে। খেয়াল রাখবেন, ঠোঁটের ব্যবহৃত পণ্যে যেমন মেন্থল, কর্পূর না থাকে। এছাড়া সুগন্ধ-যুক্ত ঠোঁট পণ্য ব্য়বহার করা এড়িয়ে চলতে পারেন।তাতে হিতে বিপরীত হয় বেশি। ঠোঁট আরও শুষ্ক হয়ে যায়।
ভাল ফল পেতে সারারাত বাম ব্যবহার করতে পারেন
অমেকের ঠোঁট অতি-শুষ্ক থাকে। তাঁরা রাতারাতি মাস্ক ব্যবহার করে ত্বকের জন্য এক বিষ্ময়কর কাজ করতে পারেন। শুতে যাওয়ার আগে ঠোঁটের জন্য উপযুক্ত লিপবাম পুরু করে ব্যবহার করতে পারেন। পরের দিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মসৃণ ঠোঁট ভেসে উঠেছে আপনার মুখে।
ঘরোয়া প্রতিকার
ফাটা ঠোঁটের নিরাময়. হিসেবে অনলাইনে খোঁজ করলেই এক টন ঘরোয়া প্রতিকার পাওয়া যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার পছন্দের তেলের সঙ্গে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তেল মিশিয়ে ঠোঁটের জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। একটি পাত্রের মধ্যে নারকেল তেলের সঙ্গে বাদাম তেল, অলিভ ওয়েল, অর্গান তেল যোগ করে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। ভাল করে মিশিয়ে ঠোঁটের মধ্যে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন তার সুতির কাপড় দিয়ে মুখে নিন।
এসপিএফ
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করতে এসপিএফ লাগানো পণ্য় ব্য়বহার করা উচিত। দেখে নিন, যে লিপবাম ব্যবহার করেছেন, তাতে এসপিএফের মাত্রা কতটা রয়েছে। মুখের ত্বকের জন্য ব্যবহৃত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। তাতে ঠোঁট সুরক্ষিত থাকে।
জীবনধারায় পজিটিভ পরিবর্তন
প্রয়োজনীয় জীবনযাত্রায় পরিবর্তন না করে ফাটা বা শুষ্ক ঠোঁট স্থায়ীভাবে নিরাময় করতে পারি না। প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার জল পান করা আবশ্যক। নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও সুস্থ থাকার জন্য কিছু নতুন খেলাধুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করুন। ধূমপান এড়িয়ে চলুন। এছাড়া যতটা সম্ভব ক্যাফেইন গ্রহণ করাও হ্রাস করুন।
আরও পড়ুন: Katrina Kaif: ত্বককে সুস্থ রাখতে এই দুরন্ত ফেসপ্যাকেই ভরসা রাখেন ক্যাটরিনা! ফলো করতে পারেন আপনিও