প্রতীকী ছবি
অনেকেই এখন মনে করেন, চুলের জন্য তেল ভাল নয়। কিন্তু বিষয়টা ঠিক তা নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চুলের সঠিক পুষ্টি পেতে সঠিক পদ্ধতিতে তেল লাগান প্রয়োজন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে – কর্মরত, সদাব্যস্ত মহিলা-পুরুষ উভয়ই ঠিকভাবে তৈললিপ্ত করতে পারেন না চুল। ফলে সুফলও পান না। তা হলে উপায়?
চুলের জন্য ওয়েলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তেলে থাকে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড। কিউটিক্যালের মুখ বন্ধ করে তেল। চুলকে ভিতর থেকে পুষ্টি দেয়। নিয়মিত তেল মাখলে চুল হয় সুন্দর ও টেকসই। কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে না মাখলে অকালে চুল ঝরে পড়তে পারে। চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যেতে পারে। বেশি তেল মাখলে স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখুন –
- ঠান্ডা তেলের চেয়ে সামান্য গরম তেল উপকারী বেশি। তাতে স্ক্যাল্পের রক্ত চলাচল বাড়ে। চুলের ভিতরে তেল প্রবেশ করতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন, বেশি গরম তেল মাখলে কিন্তু তালু পুড়েও যেতে পারে।
- রোজ তেল মাখবেন না। সপ্তাহে দু’-তিনদিনই যথেষ্ট। শ্যাম্পু করার আগে ১-২ ঘণ্টা তেল মেখে অপেক্ষা করুন। সারারাত মাথায় তেল রেখে দেওয়ার কোনও দরকার নেই। তাতে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যেতে পারে।
- স্বাভাবিক জিজ্ঞাসা, পুরুষ ও নারীর চুলে তেল মাখার নিয়ম কি আলাদা? উত্তর হল, না। কোনও পার্থক্য নেই। একটাই বিষয় – মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ওয়েল ম্যাসাজ করতে হবে বেশিক্ষণ।
- আমলা, আমন্ড, অলিভ কিংবা সরষের তুলনায় নারকল তেলই চুলের জন্য বেশি উপকারী। তার কারণ, এই তেলটি বেশি পুষ্টিকর।
- দু’তিনটে তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেলের সঙ্গে তিলের তেল, আমলা, জবার তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল ও তিলের তেলে ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। আমলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি। জবা তেল দেয় সাইন। থাকে আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড।
আরও পড়ুন: মাত্র তিনটি উপাদানে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ‘নির্ভেজাল’ ডিওডোরেন্ট