প্রতিটি সৌন্দর্যের সমস্যার জন্য প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে। সেগুলি ব্যবহার বা প্রয়োগ করে রাসায়নিক মিশ্রিত প্রসাধনী ও অন্যান্য সৌন্দর্য পণ্যগুলি ব্যয় করা থেকে বিরত থাকতে পারেন। মনে রাখবেন, প্রকৃতি থেকে পাওয়া যায় এমন জিনিসগুলি ব্যবহার করা যায়, যেগুলিতে রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করার প্রবণতা তৈরি না হয়। প্রাকৃতিকভাবে সৌন্দর্যের টিপসে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ভারতীয় মহিলারা দৈনন্দিন জীবন থেকে পরিস্কার ও উজ্জ্বল সৌন্দর্যের টিপস বহন করে চলেছেন।
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি
যুবতী বয়স থেকেই ত্বকের দেখভাল করা প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি ভাল বলে মনে করা হয়। বাজারে সহজলোভ্য ও সস্তা। ত্বকের ছিদ্র পরিস্কার করতে, ত্বক পরিস্কার করতে, ব্রণ শুকিয়ে ফেলতে ও ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত, নিস্তেজ বা শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বকের জন্য এই প্রাকৃতিক জিনিসের কদর অনেক।
চুল পাতলা হলে হেয়ারস্টাইল করবেন না
ভারতীয় মহিলারা চুলের সৌন্দর্যের জন্য দীর্ঘায়িত স্বাস্থ্যকর উপায়ের খোঁজে থাকেন। সেরা কৌশল হল চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানো। চুল ক্রমাগত দুভাগ করে চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালে চুল পাতলা হওয়া থেকে এড়ানো সম্ভব। সবচেয়ে সহজ ও সেরা টিপস হল এটাই। চুল আঁড়ানোর সময় মাথার ত্বক ও চুল, উভয়েরই সব সমস্যা নির্মূল হয়।
চকচকে ও সিল্কি চুলের জন্য হেনা ব্য়বহার করুন
চুল পড়ে গিয়ে পাতলা হয়ে গিয়েছে? এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিঁখুত প্রকিকার খুঁজছেন? ভারতীয় মহিলাদের সৌন্দর্যের সেরা প্রতিকার হিসেবে একটি মোক্ষম টিপস রয়েছে। ১০দিন একবার মেহেন্দি ব্যবহার করলে চুলের গোড়ায় পুষ্টি প্রদান করতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, চুল পেকে গেলে তা ঢাকতেও সাহায্য করবে। কারণ মেহেন্দি ব্যবহারের পর চুলের রঙ ঘন লাল হয়ে যায়। এছাড়া চকচকে ও মসৃণ চুলের জন্যও মেহেন্দি ব্যবহার করা যেতে পারে।
খুশকির সমস্যায় লেবু ব্যবহার
খুশকি থেকে পরিত্রাণ পেতে শুধু একটি নারকেল তেল ও এক চা চামচ লেবুর রস ব্যবহার করলেই হবে কেল্লাফতে। চিরুনি বা হাত দিয়ে চুলের গোড়া ম্যাসাজ করার পর এক ঘণ্টা রেখে পরে আবার ধুয়ে ফেলতে হবে। খুশকি প্রতিরোধের জন্য দই ব্যবহার করাও সেরা বলে মনে করা হয়।
অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে বেসনের প্রতিকার
মুখের ত্বকে অবাঞ্ছিত লোম নির্মূল করতে অল্প জল দিয়ে বেসনের পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর অবাঞ্ছিত লোম-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রয়োগ করতে পারেন। সপ্তাহে রুটিন মেনে ২বার করলে স্থায়ীভাবে অবাঞ্ছিত লোম দূর হতে পারে।
ব্রণ দূর করতে নিমের ব্যবহার
নিম হল একটি প্রাচীন ও প্রাকৃতিক প্রতিকার যা শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই নয়, আভ্যন্তরীণ আত্মার জন্যও অপরিহার্য। শুধু নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে নিয়মিত ত্বকে প্রয়োগ করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিয়ে পেস্টটি জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের যেকোনও দাগের চিকিত্সার জন্য নিমের তেল ব্যবহার করতে পারেন। নিমে রয়েছে অ্যান্টি-সেপটিক বৈশিষ্ট্য যা ত্বকের প্রদাহকেও প্রশমিত করে।