মা দিদিমাদের মুখে শুনেছেন ‘তেলে চুল তাজা’। কথাটা কতটা সত্যি এটা নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ রয়েছে। ছোটবেলায় যেমন মোটা দুটো বিনুনি হত, এখন আর হয় না। একটা বিনুনি হলেও সেটা পাতলা। চুল পাতলা হয়ে গিয়েছে অনেক। বিচার করে দেখতে গেলে, আগের মতো চুলের যত্ন নেওয়া হয় না। আর এই চুলে তেল দেওয়ার ব্যাপারেই অনেকের ঘোর আপত্তি। কারও সময়ের অভাব। আবার কেউ মনে করেন চুলে তেল মাখলে রাস্তায় বেরোনো যায় না। কিন্তু তেলের গুরুত্ব ভুলে গেলেই সমস্যা। চুল পড়া, খুশকি, পাকা চুল এই সব সমস্যা তখনই বেশি দেখা দেয়, যখন আপনি যথাযথ উপায়ে চুলের দেখভাল করা হয় না। কিন্তু তেল মাখলে সত্যি কি চুল বাড়ে কিংবা খুশকির সমস্যা দূর হয়? এগুলো সত্যি নাকি ধারণা মাত্র?
চুলের তেল নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ কিছু ভুল ধারনা রয়েছে। তেলে চুল তাজা হয় ঠিকই। কিন্তু চুলের উপর তেল ঠিক কী কাজ করে, সেটা জানা দরকার। চুলের তেল নিয়ে মানুষের মধ্যে যে সব ভুল ধারণা রয়েছে, তা ভেঙে দিয়েছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক জয়শ্রী শারাদ। কী কী সেই ভুল ধারণাগুলো, চলুন জেনে নেওয়া যাক…
১) তেল চুলের বৃদ্ধি ঘটায়
বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন, তেল মাখলে চুল তাড়াতাড়ি বেড়ে যাবে। ডাঃ জয়শ্রী বলছেন, এই ধারণা ভুল। তেল অবশ্যই আপনার চুলে পুষ্টি জোগায় কিন্তু এটি আপনার চুলকে বাড়তে সাহায্য করে না। সুতরাং, আপনি যদি ভাবেন তেল মাখলেই আপনার চুল পড়া নিমেষে বন্ধ হয়ে যাবে কিংবা চুল কোমর ছাড়িয়ে বেড়ে যাবে, তাহলে ভুল ভাবছেন। নারকেল তেল হোক বা আমন্ড অয়েল, সব তেলই চুলকে পুষ্টি জোগায় কিন্তু দ্রুত চুল বাড়ায় না। বরং, তেল মাখলে চুল অনেক বেশি মসৃণ ও কোমল হয়ে ওঠে। রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর হয়। আর তেল আপনার চুলের উপর একটি আস্তরণ তৈরি করে, যা আপনার চুলকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে।
২) তেল খুশকির সমস্যা প্রতিরোধ করে
যাঁরা খুশকির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা মনে করেন তেল মাখলেই তাঁদের সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কিন্তু না, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তেল মেখে আপনি খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন না। তেল খুশকির সমাধান নয়। খুশকির সমস্যা থেকে পরিত্রাণ থেকে অন্য সমাধান শেয়ার করেছেন ডা জয়শ্রী। তিনি জানিয়েছেন, খুশকি থাকলে ২% কেটোকোনাজল ভিত্তিক শ্যাম্পু বা জিঙ্ক পাইরিথিওন ভিত্তিক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। কিন্তু সহজেই যদি খুশকির সমস্যা পিছু না ছাড়ে তাহলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন ডাঃ জয়শ্রী।