বর্ষাকালে বেশি চুল পড়ে। আবার কারও-কারও সারাবছরই চুল পড়তে থাকে। কিন্তু এর স্থায়ী সমাধান কারও কাছেই নেই। শ্যাম্পুতে বদল এনে, হাজার-খানেক টাকা খরচ করে স্পা, হেয়ার ট্রিটমেন্ট করিয়েও খুব লাভ হয় না। কিন্তু আপনি যদি নিয়ম করে মাথায় মেথির হেয়ার মাস্ক, তেল ইত্যাদি ব্যবহার করেন, তাহলে চুল পড়া বন্ধ হবেই। পাশাপাশি নতুন চুল গজাবে এবং চুল হয়ে উঠবে অনেক বেশি সুন্দর ও মোলায়েম।
মেথি চুলের ফলিকল মজবুত করতে সাহায্য করে। এটি খুশকি, চুলকানির মতো স্ক্যাল্পের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। চুলকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে মেথির দানা। মেথির মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা চুল বিভিন্ন ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে মেথি। এছাড়া আপনি যদি কম বয়সেই পাকা চুলের সমস্যায় ভোগেন, তাহলেও ব্যবহার করতে পারেন মেথি। মেথি ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করলে চুলের কালো রং রক্ষা করে।
মেথি চুলের উপর প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, মেথি ব্যবহার করে আপনি নরম চুল পেয়ে যাবেন। একইভাবে, কমে যাবে ফ্রিজি হেয়ারের সমস্যাও। আর আপনার স্ক্যাল্প যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়, তাহলেও ব্যবহার করা যাবে মেথির দানা। মেথির দানা স্ক্যাল্পে সিবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। মেথি স্ক্যাল্পের অতিরিক্ত তেলকে শুষে নেয় এবং স্ক্যাল্পকে পরিষ্কার রাখে।
চুল পড়ার সমস্যায় যেভাবে মেথির দানা ব্যবহার করবেন-
২ চামচ মেথির দানা সারারাত ধরে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ওই ভেজানো মেথির দানা মিক্সিতে দিয়ে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। এই মেথির দানার পেস্ট আপনি সরাসরি চুল ও স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন। প্রায় ১ ঘণ্টা রেখে সাধারণ জলে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই উপায়ে মেথির দানা আপনি সপ্তাহে ২-৩ বার চুলে ব্যবহার করতে পারেন।
স্ক্যাল্পের সমস্যায় যেভাবে মেথির দানা ব্যবহার করবেন-
২ চামচ মেথির দানা সারারাত ধরে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ওই ভেজানো মেথির দানা মিক্সিতে দিয়ে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই পেস্টের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ২ চামচ টক দই। এরপর এটা চুল ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একদিন আপনি এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।