এই বিষয়ে দ্বিমত পোষণের কোনও জায়গা নেই যে, ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য সুষম আহার জরুরি। শরীরে যখন সব ভিটামিন ও মিনারেল পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবে তখন ত্বকও পুষ্ট থাকবে। একই ভাবে জরুরি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি হল এমন একটি উপাদান যা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় মাছের তেলে। কিন্তু সবচেয়ে মজার বিষয় হল এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড খাওয়ার মাধ্যমে যেমন শরীর ও ত্বক ভাল থাকবে, তেমনই মাছের তেল ত্বকে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন। কিন্তু মাছের তেল কি সত্যি ত্বকে মাখা যায়? এই সমস্যারও সমাধান রয়েছে আমাদের কাছে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সাপ্লিমেন্ট হল ভিটামিন ই অয়েল বা ফিশ অয়েল ক্যাপসুল। সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য এই উপাদানটি দারুণ কাজ করে। এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে আপনার ত্বককে সুস্থ রাখে। আপনি এই ফিশ অয়েলকে ত্বকের যত্নের রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কীভাবে ভাবছেন? চলুন দেখে নেওয়া যাক…
ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক মেরামত করতে এবং বলিরেখার সমস্যা এড়াতে ফেস ম্যাসাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার ত্বকে নতুন প্রাণ ও সতেজতা এনে দেয়। ত্বক মালিশের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে মুখে লাগান। এবার একটি ফেস রোলারের সাহায্যে সারা মুখে ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ করার পর এটি মুখে এভাবে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। এর পর মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। কয়েক মিনিট ফেস ম্যাসাজ করার পরই আপনি পার্থক্যটা স্পষ্ট দেখতে পাবেন।
ফেসপ্যাক তৈরিতেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা যেতে পারে। শুষ্ক ত্বক হলে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এটি তৈরি করতে মাছের তেলের সঙ্গে মধু লাগবে। আপনার মুখের কথা মাথায় রেখে এই দুটি উপাদান নিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগান এবং প্রায় ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এর পর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।
যখনই আপনার ত্বকে আঘাত লাগে বা কেটে যায় তার চিহ্নগুলি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। দাগ থেকে মুক্তি পেতে মাছের তেল ব্যবহার করতে পারেন। তবে ব্যবহার করার সময় পরিমাণের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। দাগের জায়গায় এক বা দুই ফোঁটা মাছের তেল নিয়ে লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক ভাল হতে শুরু করবে। এছাড়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করেও দাগ দূর করতে পারেন। ফেসপ্যাকটি সারা মুখে না লাগিয়ে শুধুমাত্র দাগযুক্ত স্থানে লাগান।
শুষ্কতার কারণে আঙুলের ত্বকও ফাটাতে শুরু করে। অনেক সময় কিউটিকল বের হতে থাকে যা আমাদের নখের পাশের ত্বকের অংশ। যখন এটি ভঙ্গুর হতে শুরু করে, ত্বক ফুলে যাওয়ার পাশাপাশি নখের অংশ ব্যথা হতে শুরু করে। আপনি যদি প্রায়শই এই ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হন তবে হাত এবং আঙুকে মাছের তেল লাগান। এটি ত্বকে লাগানোর পাশাপাশি নখেও লাগান, এতে উজ্জ্বলতা বাড়ে।