শীত হোক বা গ্রীষ্ম, তৈলাক্ত ত্বক (Oily Skin) সারাবছরই নাজেহাল করে রেখে দেয়। তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে প্রতি মুহূর্তে সমস্যায় পড়তে হয়। ত্বকে অত্যধিক সেবাম উৎপন্ন হলে ত্বক তেলতেলে হয়ে যায়। যদিও, সেবাম (Sebum) ত্বকের জন্য নিঃসন্দেহে ভাল। কারণ, এটি ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। কিন্তু অধিক সেবাম উৎপন্ন হওয়া কিন্তু একেবারেই ভাল লক্ষণ নয়। এতে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডসের (Blackheads) মতো একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।
সারাবছর ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। আর যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক, তাঁদের আরও বেশি করে এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। অয়েলি স্কিন ব্যক্তিদের কাছে স্কিন কেয়ার বেশ চ্যালেঞ্জের। কারণ চাইলে তাঁরা পছন্দমতো প্রসাধনী পণ্য ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ কয়েকটি সাধারণ রুটিন মেনে চললেই তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব। কী সেইগুলো? আসুন জেনে নিই…
ক্লিনজ়িং: প্রথমেই আপনাকে ত্বককে পরিষ্কার রাখতে হবে। নিয়মিত ত্বককে ভালভাবে পরিষ্কার করুন, যাতে কোনও রকম ময়লা জমে না থাকে। বাড়িতে বানানো উপাদান দিয়ে যদি মুখ পরিষ্কার করতে পারেন তাহলে আরও ভাল। এক্ষেত্রে নারকেল তেল বা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক পরিস্কার হয় এবং ত্বকের রোমকূপগুলো খুলে যায়। এছাড়াও এগুলি ত্বককে অয়েল মুক্ত করতে সহায়তা করে। খেয়াল রাখবেন, আপনি যে ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার করছেন, তাতে যেন ক্ষার না থাকে। অয়েল-ফ্রি ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। যতটা সম্ভব স্যালিসাইক্লিক অ্যাসিড, গ্লাইকলিক অ্যাসিড, বেটা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড ও বেনজয়েল পারঅক্সাইড সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
টোনিং: এই ধাপ যে কোনও ত্বকের জন্য ভীষণ জরুরি। ত্বককে ভালভাবে পরিস্কার করে নিয়ে প্রাকৃতিক ও কেমিক্যাল মুক্ত টোনার দিয়ে টোনিং করে নিন। অ্যাস্টিনজেন্ট যুক্ত টোনার একেবারেই ব্যবহার করা চলবে না। যে কোনও টোনার ব্যবহার করার আগে, ত্বকের যে কোনও অংশে কয়েক ফোঁটা লাগিয়ে আগে পরীক্ষা করে নিন। দেখুন কোনও রকম অস্বস্তি হচ্ছে কিনা। যদি না হয় তবেই সেই টোনার মুখে প্রয়োগ করুন।
তৈলাক্ত ত্বকের একটি মূল সমস্যা হল ব্রণ। এর হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সালফার ও রেটিনল যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এগুলি ত্বকের ছিদ্র খোলা রাখতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ময়েশ্চারাইজ়িং: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল ময়েশ্চারাইজ়িং। অয়েলি স্কিনের সমস্যা যাঁদের, তাঁরা নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ়ার দিয়ে ত্বককে ময়শ্চারাইজ় করুন। এক্ষেত্রে মাথায় রাখবেন অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে হবে। ফেস জেলও ব্যবহার করাই যায়। এটি ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে।