হেয়ার স্টাইলে প্রকাশ পায় মানুষের ব্যক্তিত্ব। হেয়ার স্টাইলই এমন একটা জিনিস, যা আপনি আপনার মনের মতো করে পরিবর্তন করতে পারবেন। এতে আপনার সৌন্দর্যও পরিবর্তন হবে। শীতের সময় সোয়েটারের সঙ্গে চুলের স্টাইল না করলে ফিকে দেখায় লুক। কিন্তু চুল যদি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়, তাহলে কোনও হেয়ার স্টাইলই নজর কাড়ে না। আর শীতের সময় রুক্ষ চুলের সমস্যা বেশি দেখা যায়। শীতের দূষণ ও আর্দ্রতার অভাব তো রয়েছে। পাশাপাশি এই অনুজ্জ্বল চুলের জীবনে আপনার লাইফস্টাইলও দায়ী হতে পারে।
বেশিরভাগ মানুষ সেই অর্থে চুলের যত্ন নেন না। শুধু শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহার করেই চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখা যায় না। চুল ও স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চলাও জরুরি। শীতের মরশুমে চুল এমনই আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। এর উপর যদি আপনি সঠিকভাবে চুলের যত্ন না নেন, তখন সমস্যা আরও বাড়ে। এর পর যখনই আপনি চুলে বিভিন্ন ভাবে স্টাইল করেন, তখন নিস্তেজ দেখায়। আর্দ্রতা অভাবে চুল প্রাণহীন মনে হয়। এই অবস্থায় চুলের যত্ন না নিলে চুল পড়ে যায় এবং খুশকির সমস্যা দেখা দেয়।
শীতে চুলের যত্নে যা কিছু মেনে চলবেন-
১) শীতে চুলের যত্ন নিতে গেলে শারীরিক পুষ্টির খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ আপনি যা খাবেন সেখান থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করবে আপনার চুলও। তাই চুলের জন্য সুষম আহার গ্রহণ করুন। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, বি, সি, ও ই, প্রোবায়োটিক, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফোলেট, আয়রন ইত্যাদি সমৃদ্ধ খাবার খান।
২) যে সব চুলের পণ্যে শক্তিশালী সালফেট, অ্যালকোহল কিংবা গন্ধ রয়েছে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন। এতে চুল ও স্ক্যাল্পের ক্ষতি হয়।
৩) যে সব পণ্যে অ্যামিনো অ্যাসিড, হাইড্রোলাইজড প্রোটিন, ভিটামিন বি ও ই, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার কেনার সময় উপাদানগুলো যাচাই করে নিন।
৪) শ্যাম্পু করার সময় জোরে জোরে স্ক্রাব করবেন না। আর স্ক্যাল্পে কন্ডিশনার লাগাবেন না। এছাড়াও শীতের মরশুমে ফুটন্ত গরম জলে স্নান করবেন না। এতে চুল নষ্ট হয়ে যায়।
৫) চুলে স্টাইল করতে গিয়ে বার বার ব্লো ড্রায়ার, ফ্ল্যাট আয়রন ইত্যাদি ব্যবহার করছেন? এতে কিন্তু মারাত্মক ক্ষতি হয় চুলের। উচ্চ তাপমাত্রা চুলকে আরও শুষ্ক করে দেয়।
৬) শীতে চুলের আর্দ্রভাব ফিরিয়ে আনতে সপ্তাহে দু’দিন তেল মালিশ করুন। এছাড়া চুলের জট ছাড়াতে মোটা দাঁতের কাঠের চিরুনি ব্যবহার করুন। এই দুই উপায়ে আপনি স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে পারবেন।