ডিসেম্বরের শীত। তবে এমন ঠান্ডা এখনও পড়েনি যে জল দেখলেই ভয় হতে পারে। তবু কিছু মানুষের মধ্যে শীত এলেই স্নানে অনীহা দেখা দেয়। তার উপর যদি শ্যাম্পু করতে হয় তাহলে তো জ্বর চলে আসে। কিন্তু চুল কোনওভাবেই অপরিষ্কার রাখা যায় না। বিশেষত, মেয়েদের ক্ষেত্রে কোনওভাবেই শ্যাম্পু ছাড়া কিংবা চুল সেট না করে বাড়ির বাইরে বেরোনো চাপ হয়। তাছাড়া শীতে দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। ধুলো, বালি, ময়লা জমতে থাকে আমাদের চুলে ও স্ক্যাল্পে। এতে চুল নোংরা এবং স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে শ্যাম্পু করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু যখন শীতে শ্যাম্পু করবেন, তখন সঠিক পদ্ধতিতে শ্যাম্পু করা জরুরি।
শীতে যেভাবে শ্যাম্পু করবেন-
শ্যাম্পু করলে সবচেয়ে ভাল ভাবে চুল পরিষ্কার হয়। শীতে শ্যাম্পু করার সময় ফুটন্ত গরম জল ব্যবহার করবেন না। এতে চুল আর্দ্রতা হারায় এবং চুল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথমে ঈষদুষ্ণ জলে চুল ভিজিয়ে নিন। এবার শ্যাম্পু নিয়ে চুল ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। হালকা হাতে স্ক্যাল্পে মালিশ করুন। এতে স্ক্যাল্প ও চুলে জমে থাকা ময়লা ও তেল দূর হয়ে যাবে। এরপর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এরপর কন্ডিশনার লাগিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু ছাড়াও চুল পরিষ্কারের উপায় রয়েছে। বরং বিশেষ কিছু করতে হবে না আপনাকে। শুধু মেনে চলুন এই কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা।
শ্যাম্পু ছাড়া যেভাবে চুল পরিষ্কার করবেন-
১) সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাল করে চুল আঁচড়ে নিন। চুল আঁচড়ানোর মোটা দাঁড়ার চিরুনি ব্যবহার করুন।
২) শীতে রাস্তায় বেরোনোর আগে চুলে ওড়না কিংবা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। অবশ্যই চুল ভাল করে বেঁধে নেবেন। এতে চুলকে আপনি দূষণ, ধুলো-ময়লার থেকে একটু হলেও রক্ষা করতে পারবেন।
৩) প্রতিদিন শ্যাম্পু না করলেও সাধারণ জল দিয়ে চুল ধোওয়ার চেষ্টা করুন। তা না হলেই জাঁকিয়ে বসতে পারে খুশকির সমস্যা।
৪) শীতে খুশকির সমস্যা এড়াতে এক মগ জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এতে খুশকি থাকলেও দূর হয়ে যাবে।
৫) শ্যাম্পু ছাড়া চুলকে ভাল রাখতে গ্রিন টি ব্যবহার করতে পারেন। স্নানের সময় গ্রিন টি বানিয়ে নিয়ে চুল ও স্ক্যাল্পে ঢালুন। এতে চুল ভাল থাকবে।