বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব মুখের পাশাপাশি হাতের উপরও পড়ে। কিন্তু হাতের যত্ন নিয়ে আমরা খুব একটা সচেতন নই। এমনকী নিয়ম করে ম্যানিকিওর করান না অনেকেই। আসলে আমরা মুখশ্রী নিয়ে যতটা সচেতন, ততটা খেয়াল রাখি না হাতের। ফলত, হাতেও দেখা যায় বলিরেখা। পাশাপাশি হাতের চামড়া শুষ্ক হয়ে যায়। কিন্তু দেখতে গেলে আমাদের হাতই সবচেয়ে বেশি কাজ করে। এই ক্ষেত্রে নিয়ম করে পার্লারে গিয়ে ম্যানিকিওর করার দরকার নেই। এর বদলে নিয়মিত হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন।
বাজারে এখন হাজার একটা নামী-দামি ব্র্যান্ডের হ্যান্ড ক্রিম পাওয়া যায়। এই ক্রিমগুলোর কাজই হল আপনার হাতের চামড়াকে ভাল রাখা। হাত শুষ্ক হওয়ার কারণে চামড়া খোসা ছাড়াতে থাকে। এই সমস্যা ঋতু পরিবর্তনের সময় বেশি দেখা যায়। এই সমস্যারও সমাধান হল হ্যান্ড ক্রিম। এছাড়াও হ্যান্ড ক্রিম কেন জরুরি, চলুন জেনে নেওয়া যাক…
মুখের ত্বকের পাশাপাশি হাতের ত্বকও বেশ পাতলা ও কোমল হয়। তবে মুখের থেকে হাতের ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি অনেক বেশি ছিদ্র রয়েছে। অন্যদিকে , হাতের চামড়ার থেকে হাতের তালুর চামড়া তুলনায় মোটা। তাই এই অংশে ময়েশ্চার বা হাইড্রেট করার জন্য হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভিটামিন সি ও হায়ালুরোনিক অ্যাসিড-যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করলে হাতের ত্বক কোমল ও আর্দ্র থাকে। এতে রয়েছে হাইড্রেশন ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সম্পদ।
কোনও কিছুর ব্যবহার করতে বা কোনও অঙ্গের মাধ্যমে কানেকশন তৈরি করার ক্ষেত্রে হাতের প্রয়োজন হয় সবার আগে। তাই হাতের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু দেহে প্রবেশ করে। তাই বার বার হাত ধোওয়া,স স্যানিটাইজারের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে হাতের সংবেদনশীল ত্বক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এর জন্য দরকার উচ্চমানের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হ্যান্ড ক্রিম। এর জেরে জীবাণুদের বিরুদ্ধে লড়াই করা আরও সহজ হয়ে যায়। পাশাপাশি ত্বককে আর্দ্র রাখতে ও সুরক্ষিত করতে হ্যান্ডক্রিমের ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মুখে ও হাতের ত্বকের তারুণ্য কমতে থাকে। হাতের ত্বকের সঠিক পরিচর্চা না করলে ত্বকের মধ্যে বার্ধক্যের প্রভাব পড়তে থাকে, দ্রুত। মুখের ত্বকের মতোই, হাতের ত্বকেরও প্রয়োজন সঠিক ও সহজ পরিচর্চা। চর্ম বিশেষজ্ঞদের মতে, হ্য়ান্ডক্রিম ব্যবহারের ফলে ত্বকের আর্দ্রতা ও স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায় । পিগমেন্টেশন, ডিহাইড্রেশন ও চুলকানির মতো সমস্যা তৈরি হলে তা প্রতিরোধ গড়তে সাহায্য করে।
হাতের ত্বকের দেখভালের সঙ্গে সঙ্গে নখেরও বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। নখের চারিপাশে যে কাটিকলস থাকে তা আদতে ব্যাকটেরিয়া থেকে হাতকে রক্ষা করার কাজে লাগে। বারে বারে সাবান দিয়ে হাত ধুলে বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হলে নখের চারিপাশের ত্বকগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি উচ্চমানের হ্যান্ডক্রিম ব্যবহার করলে নখের চারিপাশের চামড়া টানটান ও সতেজ থাকে। চকচকে ও উজ্জ্বল ও সুস্থ নখের জন্যও হ্য়ান্ডক্রিম ব্যবহার করা প্রয়োজন।