পুজো শুরু হতে আর মাত্র পাঁচ দিন। এর মধ্যেই সব তোরজোড় সেরে ফেলতে হবে। ইতিমধ্যেই পুজোর শপিং সেরে ফেলেছেন অনেকে। কিন্তু পার্লারে গিয়ে রূপচর্চা করার সময় নেই অনেকের হাতে। তাছাড়া পুজো শুরু হতে যেহেতু বেশি দেরি নেই তাই পার্লারেও বেশ ভিড় লেগে রয়েছে। ভিড় এড়াতে আপনি বাড়িতেও রূপচর্চা সেরে নিতে পারেন। কিন্তু আপনার হয়তো মনে হবে যে, বাড়িতে সালোঁর মতো পরিষেবা বা ফলাফল পাবেন না, তাহলে ভুল ভাবছেন। পুজোর তিন-চার দিন আগে যদি ঘরোয়া টোটকায় ফেসিয়াল করে নেন, তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা আরও বেড়ে যাবে।
ফেসিয়ালের প্রথম ধাপ হল ত্বক পরিষ্কার করা। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজ়ার বেছে নিন। প্রথমে মুখে হালকা গরম জলের ঝাপটা দেবেন। তারপর মুখ পরিষ্কার করবেন। প্রাকৃতিক ক্লিনজ়ার হিসেবে আপনি কাঁচা দুধ কিংবা মধুকে বেছে নিতে পারেন। কাঁচা দুধ কিংবা মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকের উপর মাখুন। এক মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের উপর জমে থাকা ধুলো-বালি দূর হয়ে যাবে।
ক্লিনজ়িংয়ের পরবর্তী ধাপ হল এক্সফোলিয়েশন। ত্বক এক্সফোলিয়েট করলে ত্বকের উপর জমে থাকা মৃত কোষ দূর হয়ে যায়। বাজারচলতি স্ক্রাবারের বদলে বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারে প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর। এক চামচ ওটস গুঁড়ো করে নিন। তাতে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে নিন। এছাড়াও আপনি কফি কিংবা চিনি দিয়েও স্ক্রাব বানিয়ে নিতে পারেন। এটা ত্বকের উপর ২-৩ মিনিট ঘষে নিন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মুখের মধ্যে জমে থাকা ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করার জন্য স্টিম নিন। গরম জলে লেবুর টুকরো এবং কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল ফেলে দিন। তোয়ালে চাপা দিয়ে ৫-৭ মিনিট গরম ভাপ নিন। এতে ত্বকের সতেজতা বাড়বে।
ফেসিয়ালের শেষ ধাপ হল ফেস মাস্ক। টক দইয়ের সঙ্গে কলা, মধু মিশিয়ে ত্বকের উপর লাগাতে পারেন। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় কিংবা ব্রণপ্রবণ তাহলে মুলতানি মাটির সঙ্গে হলুদ গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে ত্বকের উপর লাগান। ফেসমাস্ক শুকিয়ে যাওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। তারপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
ফেসমাস্কের পরই ত্বকের যত্ন শেষ হয় না। ফেসিয়ালের শেষ ধাপ ফেসমাস্ক হলেও ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য আরও বেশ কিছু ধাপ মেনে চলতে হবে। ফেসিয়াল করার পর মুখে টোনার লাগিয়ে নিন। এই ক্ষেত্রে আপনি শসার রস কিংবা অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে। শেষে আপনার পছন্দের যে কোনও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। প্রয়োজনে আপনি নারকেল তেল, আমন্ড তেল কিংবা আর্গান অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।