মেকআপের জন্য প্রাথমিক যে কয়েকটি উপকরণ লাগে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল ফাউন্ডেশন। ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন কেনা খুবই জরুরি। তবুও স্কিন টোনের সঙ্গে মানানসই ফাউন্ডেশন ব্যবহারের পরও মুখ কালো লাগে। মনে হয় মুখের উপর ছোপ পড়ে গিয়েছে। এবার কখনও এরকমও হয় যে খুব দামি ফাউন্ডেশন হলেও তা ত্বকের সঙ্গে ভালভাবে ব্লেন্ড হয় না। এই নানা কিছু নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের। আজকের বাজারে ফাউন্ডেশনের দামও নেহাত কম নয়। সুন্দর করে মেকআপ করার পর মুখ কালচে দেখালে মোটেও তাতে ভাল লাগে না। কারণ ফাউন্ডেশনের কাজই হল স্কিনটোন উজ্জ্বল করা। তবে এই ফাউন্ডেশন ঠিকমতো কাজ না করার নেপথ্যে কিন্তু একাধিক কারণ থাকে।
স্কিন টোন, আন্ডারটোন, ফাউন্ডেশনের টেক্সচার, এ সব কারণ যেমন আছে, তেমনি অক্সিডাইজ়েশনের মতো কিছু কারণও আছে। ফাউন্ডেশন কেনার আগে এ সবই মাথায় রাখতে হবে। এই সব মাথায় না রাখলে মুখ কালো দেখাতে বাধ্য়। এছাড়াও আরও কিছু কারণ থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হল অক্সিডাইজেশনের প্রভাব।
বাতাসের সঙ্গে বিক্রিয়ার ফলে যেমন কোনও কাটা ফল কালো হয়ে যায় তেমনই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে বিক্রিয়াতেও তা কালো হয়ে যায়। সেই সঙ্গে মুখ থেকে যে প্রাকৃতিক তেল নিঃসৃত হয় তার সঙ্গে ফাউন্ডেশন মিশে গিয়ে ত্বকের pH-এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে ফাউন্ডেশনের শেড বদলে যায় আর আপনার মুখ কালো দেখায়।
তাই কেনার সময় ফাউন্ডেশন হাতে না লাগিয়ে সামান্য পরিমান মুখে লাগান। এক্ষেত্রে বিকেলে বা রাতে কেনার পরিবর্তে সব সময় ফাউন্ডেশন দিনে কেনা ভাল। কারণ ফাউন্ডেশন লাগিয়ে রোদে বেরোলে যদি রং পরিবর্তন হয় বা মুখ কালো হয়ে যায় তাহলে সহজেই আপনি বুঝতে পারবেন তা আদৌ আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত কিনা।
দাম কম পড়ে বলে আজকাল অনেকেই অনলাইনে ফাউন্ডেশন কেনেন। এই অভ্যাসও কিন্তু ঠিক নয়। এতে সঠিক ভাবে ফাউন্ডেশন বাছাই করা যায় না। তাই ছবি দেখে নয়। দোকানে গিয়ে নিজের হাতে বাছাই করে ফাউন্ডেশন কিনুন। আর ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার আগে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে ভুলবেন না। এরপর হালকা কোনও বেস লাগান। তারপর ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। যদি বেস না থাকে তাহলে কোনও লোশনের সঙ্গে মিশিয়ে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। এতে মুখে তা ঠিকমতো বসে।