মুখের ত্বক ও হাতের যত্ন নেওয়া হলেও পায়ের পরির্চচার ব্যাপারে এখনও ভাবলেশ থাকেন অনেকেই। শরীরের যে অংশটি সমস্ত ওজন বহন করে, তাকে সামান্যটুকু পরিচর্চা করতেও অনীহা অধিকাংশের। শীতকালে বিশেষ করে পায়ের একটু বেশিই নজর দেওয়া প্রয়োজন। আর পায়ের যত্ন নেওয়ার সেরা উপায়গুলির মধ্যে একটি হল পেডিকিওর করানো। এই পদ্ধতি পায়ের যত্ন নিতে গিয়ে পার্লারে বা স্পা সেন্টারে পকেট থেকে গাদা টাকা খসানোর কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ তার পরিবর্তে আপনি বাড়িতেই আরামদায়ক উপায়ে পেডিকিওর করতে পারেন। কীভাবে নিজে নিজে পেডিকওর করবেন, তা জানুন …
– পেডিকিওর করার আগে একটি ভাল মানের নেইল রিমুভাব ও তুলোর বল বা প্যাড দিয়ে নখের রঙ মুছে ফেলুন। নখের মধ্যে অবশিষ্ট নেইল পলিশ তুলতে জল ও হালকা সাবান দিয়ে পা পরিস্কার করে ধুয়ে ফেলুন।
– কয়েক মিনিটের জন্য আপনার পা হালকা গরমেক চেয়ে বেশি গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। এই পদ্ধতিতে পায়ের মধ্যে কিউটিকল ও শুষ্ক মৃত কোষগুলি উঠে যায়। ফলে পা নরম হয়ে ওঠে।
– মৃত ত্বকের কোষ ও ময়লা অপসারণ করতে একটি স্ক্রাবিং প্যাড ব্যবহার করুন। স্ক্রাব করার জন্য কোনও ধারালো বা রুক্ষ বস্তু ব্যবহার করা এড়িয়ে চলাই ভাল। এতে আপনার পায়ে যে কোনও সময় আঘাত হতে পারে।
– ত্বকের মৃত কোষ ও ময়সাগুলির চিহ্ন অপসারণ করতে স্ক্রাব করার পরে আপনার পা ধুয়ে ফেলুন। একপর নরম তোয়ালে বা সুতির কাপড় দিয়ে পা শুকিয়ে নিন।
– পায়ের নখগুলিকে একই ভাবে সমান ভাবে কেটে ফেলুন। সুন্দর আকার দেওয়ার পর নখের কোণগুলি পরিস্কার করুন। আঙুলের ডগাও পরিস্কার করে নিতে পারেন।
– নখ ও পা ভাল করে মাসাজ করুন।
– নারকেল বা আমন্ড তেলের সঙ্গে ৪-৫ চা চামচ ভিটামিন ই-এর কয়েক ফোঁটা যোগ করুন। এবার এই পেস্টটি পায়ে সমানভাবে ব্যবহার করে নিন। প্রায় ১০ মিনিটের জন্য হিল মাসাজ করুন। তাতে ত্বকের তেল সমস্ত জায়গাও ছড়িয়ে পড়ে।
– অতিরিক্ত তেল অপসারণ করতে একটি গরম ভেজা কাপড় ব্যবহার করুন। এরপর একটি ফুট ক্রিম লাগিয়ে নিন।
– রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে পায়ে বৃত্তাকার ভাবে মাসাজ করুন। অতিরিক্ত ক্রিম মুছে ফেলার জন্য তুলোর প্যাড ব্যবহার করুন। পা ও নখ মুছে প্রিয় ও পছন্দের রঙে রঙিন করে তুলুন পা-কে।