শীত শুরু হতেই গরম পোশাক বের হতে শুরু করে দিয়েছে। তবে এই গরম পোশাকের কারণেও ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণত শীতকালে শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের জন্য চাই আলাদা স্কিনকেয়ার রুটিন। তবে শুষ্ক ত্বকের জন্যও নয়, মাথার ত্বকও এই সময় শুষ্ক হয়ে যায়।
শীতের মনোরম ও ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য গরম পোশাক থেকে বের হতে আলসেমি লাগে। স্নান না করার প্রবণতা তৈরি হয়। কিন্তু এই আবহাওয়ায়. চুলের গোড়া পরিস্কার করাও প্রয়োজন। নাহলে মাথায় দুর্গন্থ বের হতে পারে। শীতের দিনগুলিতে স্নান না করার ফলে যে গন্ধ বের হয়, তা হঠাতে কয়েকটি সহজ হ্যাকস রয়েছে, যা আপনার কাজে লাগতে পারে।
– মাথার ত্বক ও চুলে স্পর্শ করা থেকে এড়িয়ে চলুন।
– ঘন ঘন চুলে দেবেন না। মাসে একবার মাত্র তেল দিতে পারেন।
– লিভ-ইন-কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না।
– আপনার মাথার ত্বকে সর্বদা একটি ব্লো-ড্রাইয়ার ব্যবহার করুন।
– চুল ও মাথার ত্বকের জন্য় সবসময় স্টিম ব্যবহার করুন।
– অন্তত তিন দিন পর শ্যাম্পু করার চেষ্টা করুন। তাতে দুর্গন্ধ দূর হবে।
মিল্ক স্প্রে- যদি হাতে কিছুটা সময় থাকে, তাহলে এই পদ্ধতি আপনি অনুসরণ করতে পারেন। একি স্প্রে বোতলে কাঁচা দুধ নিন। এরপর সেটি বেশ কয়েক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। আপনার মাথার ত্বকে ও চুলে কাঁচা দুধ স্প্রে করুন। এরপর একটি বড় মাপের চিরুমি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। ৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। দুধের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম চুলের গোড়া মজবুত করত সাহায্য করে।
দই-লেবুর রস- মসৃণ ও চকচকে চুলের জন্য ঠান্ডাকে আগে এড়িয়ে চলতে হবে। ৪ টেবিলস্পুন ঠান্ডা দই ফেটিয়ে নিন। তাতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে ভাল করে একটি পেস্ট বানান। এরপর ঘনপেস্টটি মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পে ও চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন। কমপক্ষে ৪৫ মিনিটের জন্য রেখে অপেক্ষা করুন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার এটি করুন। তাহলে নরম, মসৃণ ও দুর্গন্ধহীন স্ক্যাল্প পাবেন নিশ্চিন্তে।
অ্যালোভেরা- জেল বা শ্যাম্পু নয়, বাজারে বা বাগানে বসানো অ্যালোভেরার পাতা নিন। এপরপর এটি মাঝবরারব কেটে তা মাথার ত্বকের আলতো করে ঘষুন। ৩০ মিনিটের রেখে দিন। হালকা গরম জল দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন । প্রাকৃতিকভাবে চুল শুকিয়ে আঁচরে নিন।