মেথির গুণ অনেক। মেথি মাখনের মত ফ্যাট গলিয়ে দেয়, মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তেমনই চুল ঘন করতে এবং কালো রং বজায় রাখতেও দারুণ ভূমিকা রয়েছে মেথির। চুল পড়ে যাচ্ছে, উঠে যাচ্ছে, খড়খড়ে হয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ থাকে সকলেরই। আর চুল সুন্দর রাখতে সকলে কতই না খরচা করেন। স্মুথনিং, কেরাটিন ট্রিটমেন্ট এসব তো চলতেই থাকে। তবে এই কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টে চুলের জন্য মোটেই খুব একটা ভাল নয়। প্রায়শই যদি চুলে রাসায়নিক ব্যবহার করা বয় তাহলে চুল রুক্ষ্ম হয়ে যেতে বাধ্য। সুন্দর দেখাতে অনেকেই চুলে রং করেন। এতেও কিন্তু চুলের ক্ষতি হয়। নতুন বছরে চুল ভাল রাখুন সেই সঙ্গে পকেটও বাঁচান। ঘরোয়া এই উপাদানেই চুল থাকবে কালো আর স্বাস্থ্যকর।
মেথির বীজ তেলের সঙ্গে ফুটিয়ে ব্যবহার করা ছাড়াও রোজ খেলে কাজে আসবে। বড় এক চামচ মেথি দানা একগ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে সেই জল ছেঁকে নিয়ে খান। এতে ফ্যাট গলবে, রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সেই সঙ্গে চুল পড়াও কমবে। এছাড়া মেথি ভেজানো জল লাগাতে পারেন চুলেও। মেথির জল স্প্রে বোতলে ভরে নিতে হবে। এবার তা সকালে ডুলে ভাল করে নিন। এবার রোদে সারাদিন চুল শুকিয়ে গেলে রাতে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। মেথি আর মৌরি একসঙ্গে ভিজিয়ে পরদিন সকালেও সেই জল ছেঁকে নিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
মুসুর ডালে এবং বেশ কিছু তরকারিতে মেথি ফোড়ন দিলে খেতে ভাল লাগে। মেথি শুকনো কড়াইতে নেড়ে নিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এবার তা তরকারিতে ব্যবহার করলে স্বাদও ভাল হয়। শীতকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণে মেথি শাক পাওয়া যাচ্ছে। আলু কিংবা বেগুন দিয়ে রোজ বানিয়ে নিন মেথি শাক। গরম ভাতের সঙ্গে তা মেখে খেলে দারুণ লাগবে খেতে।
চুল পড়া বন্ধ করতে মেথিদানা কাজে লাগান এই ভাবে
আগের রাতে গরম জলে ২ চামচ মেথি দানা ফেলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে জল থেকে তুলে নিয়ে সেই দানা বেটে নিতে হবে। নারকেল তেলের মধ্যে কারিপাতা আর লাল জবা দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার এই তেল আর মেথিদানা খুব ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখতে হবে ২ ঘন্টা। এরপর শ্যাম্পু করে ইষদুষ্ণ জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে ২ দিন করতে পারলেই ফল পাবেন।