Skin Care: খাওয়ার পাশাপাশি মাছের তেলকে রূপচর্চাতেও কাজে লাগান! পার্থক্যটা কয়েকদিনেই চোখে পড়বে

Fish Oil: মাছের তেলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের ফ্রি র‍্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে আপনার ত্বককে সুস্থ রাখে।

Skin Care: খাওয়ার পাশাপাশি মাছের তেলকে রূপচর্চাতেও কাজে লাগান! পার্থক্যটা কয়েকদিনেই চোখে পড়বে
Image Credit source: istockphoto.com
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 04, 2022 | 8:10 AM

সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের ত্বককেও সুস্থ রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে বিবেচিত হয়। অনেক খাবারেই এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। তবে এই উপাদানের প্রধান উৎস হল মাছের তেল (Fish Oil)। প্রতিদিনের ডায়েট আপনি মাছ, ফ্লাক্স সিডের মত খাবার যোগ করে শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ করতে পারেন। এর পাশাপাশি বাজারে যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায় তা আপনি আপনার রূপচর্চায় যোগ করতে পারেন। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সাপ্লিমেন্ট হল ভিটামিন ই অয়েল (Vitamin E) বা ফিশ অয়েল ক্যাপসুল। সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বকের (Skin Care) জন্য এই উপাদানটি দারুণ কাজ করে। এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের ফ্রি র‍্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে আপনার ত্বককে সুস্থ রাখে। আপনি এই ফিশ অয়েলকে ত্বকের যত্নের রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কীভাবে ভাবছেন? চলুন দেখে নেওয়া যাক…

যখনই আপনার ত্বকে আঘাত লাগে বা কেটে যায় তার চিহ্নগুলি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। দাগ থেকে মুক্তি পেতে মাছের তেল ব্যবহার করতে পারেন। তবে ব্যবহার করার সময় পরিমাণের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। দাগের জায়গায় এক বা দুই ফোঁটা মাছের তেল নিয়ে লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক ভাল হতে শুরু করবে। এছাড়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করেও দাগ দূর করতে পারেন। ফেসপ্যাকটি সারা মুখে না লাগিয়ে শুধুমাত্র দাগযুক্ত স্থানে লাগান।

শীতকালে আঙুলের ত্বকও ফাটাতে শুরু করে। অনেক সময় কিউটিকল বের হতে থাকে যা আমাদের নখের পাশের ত্বকের অংশ। যখন এটি ভঙ্গুর হতে শুরু করে, ত্বক ফুলে যাওয়ার পাশাপাশি নখের অংশ ব্যথা হতে শুরু করে। আপনি যদি প্রায়শই এই ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হন তবে হাত এবং আঙুকে মাছের তেল লাগান। এটি ত্বকে লাগানোর পাশাপাশি নখেও লাগান, এতে উজ্জ্বলতা বাড়ে।

ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক মেরামত করতে এবং বলিরেখার সমস্যা এড়াতে ফেস ম্যাসাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার ত্বকে নতুন প্রাণ ও সতেজতা এনে দেয়। ত্বক মালিশের জন্য মাছের তেল ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে মুখে লাগান। এবার একটি ফেস রোলারের সাহায্যে সারা মুখে ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ করার পর এটি মুখে এভাবে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। এর পর মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। কয়েক মিনিট ফেস ম্যাসাজ করার পরই আপনি পার্থক্যটা স্পষ্ট দেখতে পাবেন।

ফেসপ্যাক তৈরিতেও ফিশ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। শুষ্ক ত্বক হলে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এটি তৈরি করতে মাছের তেলের সঙ্গে মধু লাগবে। আপনার মুখের কথা মাথায় রেখে এই দুটি উপাদান নিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগান এবং প্রায় ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এর পর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।

আরও পড়ুন: পার্লারের কেমিক্যাল ব্লিচে ত্বকে র‍্যাশ বেরিয়ে গিয়েছে? প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বাড়িতেই ব্লিচ বানিয়ে নিন