Rain of Money: আকাশ থেকে টাকার বৃষ্টি! রাতের পর বিরাম নেই সকালেও! কী চলছে মালদহে?
Rain of Money: স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুন সরকার বলছেন, “গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত রাত পর্যন্ত টাকা পড়েছে। কোথা থেকে পড়েছে কেউ বলতে পারেনি। আজও সকাল ৭টা থেকে ফের টাকার বৃষ্টি। ১০ টাকা থেকে ৫ টাকা সবাই পাচ্ছিল। এরইমধ্যে দেখা যায় একটা বাচ্চা একেবারে ২০০ টাকার নোট পেয়ে গিয়েছে।”
মালদহ: আকাশে উড়ছে টাকা। পড়ছে মাটিতেও। একেবারে যেন হরির লুঠ। এক টাকার কয়েন থেকে দু’শো টাকার নোট। বাদ যাচ্ছে না কিছুই। আর সেই টাকা কুড়োতে আশপাশের গ্রাম থেকে পিলপিল করে ছুটে আসছে মানুষ! শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে মালদহের হবিবপুর থানার ছাতিয়ানগাছি কাঠের ব্রিজ এলাকায়। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, প্রথম তাঁরা ঘটনাটা লক্ষ্য করেন সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ। রাতভর পড়ে টাকা। বিরাম নেই সকালেও। ঘড়ির কাঁটা সকাল সাতটার ঘর ছুঁতে না ছুঁতেই ফের শুরু হয়ে যায় টাকার বৃষ্টি।
ইতিমধ্যেই ভিডিয়ো ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু, কীভাবে এই টাকা পড়ছে, কে ফেলছে, কোথা থেকে আসছে সেই উত্তর নেই কারও কাছে। হতবাক স্থানীয় প্রশাসন থেকে এলাকার বাসিন্দারা। অনেকেই আবার বলছেন আকাশ থেকে নয় গাছ থেকে পড়ছে টাকা। তবে এলাকায় গাছগুলির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে কোনও রহস্য। ঘটনায় কেউ কেউ অলৌকিকতার ছোঁয়া পেলেও অনেকেই বলছেন এ মানুষেরই কাজ। মজা করে কেউ কেউ আবার বলছেন, এ দুর্নীতির কালো টাকা নয় তো? তা সে সাদা হোক বা কালো, কুড়োতে ভিড় গোটা গ্রামে।
এই খবরটিও পড়ুন
স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুন সরকার বলছেন, “গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত রাত পর্যন্ত টাকা পড়েছে। কোথা থেকে পড়েছে কেউ বলতে পারেনি। আজও সকাল ৭টা থেকে ফের টাকার বৃষ্টি। ১০ টাকা থেকে ৫ টাকা সবাই পাচ্ছিল। এরইমধ্যে দেখা যায় একটা বাচ্চা একেবারে ২০০ টাকার নোট পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু, কোথা থেকে এই টাকা আসছে কেউ বলতে পারছে না। আমাদের মনে হয় কেউ টাকা ফেলে চলে যাচ্ছে। কিন্তু কেন ফেলছে জানি না।” পাশের গ্রামে থাকেন শ্রীমতী হালদার। হাসিমুখে ছুটে এসেছেন তিনিও। ক্যামেরা দেখে বললেন, “আমরা তো লোকের মুখে শুনে ছুটি আসি। সবাই বলছিল গাছ থেকে টাকা পড়ছে।”