বয়সের সঙ্গে সঙ্গে, শুষ্ক ত্বকের সমস্যা মহিলাদের আরও বিরক্ত করে তোলে। শুষ্ক ত্বক হল এমন একটি সমস্যা যা মহিলারা প্রায়ই সম্মুখীন হন। তার সঙ্গে এই শুষ্ক ত্বক চুলকানি, ফ্লেকিনেস এবং কিছু ক্ষেত্রে এমনকি একজিমা এবং সোরিয়াসিসের মত রোগও সৃষ্টি করে। অনেকে মনে করেন যে যাদের শুষ্ক ত্বক রয়েছে তাদের শরীরকে হাইড্রেশন করা প্রয়োজনীয়। কিন্তু, আপনার শরীরের যেমন কাজ করার জন্য হাইড্রেশন প্রয়োজন, আপনার ত্বকেরও হাইড্রেশনের দরকার।
কিন্তু ত্বকের ক্ষেত্রে এই হাইড্রেশনের অর্থ কী? এর জন্য কি ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা দরকার? নাকি হাইড্রেটারকে বেছে নেওয়া দরকার। কিন্তু এই হাইড্রেটর কী? এটা কি ময়েশ্চারাইজিং এর অনুরূপ? এবং কীভাবে আপনার ত্বকের জন্য সঠিক হাইড্রেটিং পণ্য বেছে নেবেন? তাছাড়া হাইড্রেটর এবং ময়েশ্চারাইজারের মধ্যে পার্থক্যটাই বা কী?
ময়েশ্চারাইজারগুলিতে সাধারণত তেল-ভিত্তিক উপাদান থাকে যেমন পেট্রোলেটাম বা খনিজ তেল, এস্টার এবং উদ্ভিদ তেলের মত এমোলিয়েন্ট। এই ময়েশ্চারাইজার যখন ত্বকে প্রয়োগ করা হয়, তখন এটি ত্বকের পৃষ্ঠে একটি সীল তৈরি করে। সীলটি জলকে তালাবদ্ধ করে এবং এটিকে ত্বক থেকে বেরোতে দেয় না। যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয় না।
অন্যদিকে, একটি হাইড্রেটরে গ্লিসারিন বা হাইলিউরোনিক অ্যাসিডের মতো হিউমেক্ট্যান্ট নামক উপাদান রয়েছে। এটি বায়ুমণ্ডল বা আপনার ত্বক থেকে জল শোষণ করে এবং এটিকে জায়গায় ধরে রাখে। যেহেতু উভয় পণ্যই আলাদাভাবে কাজ করে, তাই একটি সঠিক ত্বকের উপাদান চয়ন করা অপরিহার্য, কারণ এগুলি আপনার ত্বক গঠনে এবং ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে জরুরি।
কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য কোনটা ভাল ফল দেবে বা আপনি ত্বকের জন্য কোনটিকে বেছে নেবেন তা নির্ভর করছে আপনার ত্বকের ওপর। যদি আপনার তৈলাক্ত ত্বক হয়ে থাকে তাহলে জল-ভিত্তিক হাইড্রেটরগুলি বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন। তৈলাক্ত ত্বকের বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন যে তাঁদের ত্বক ডিহাইড্রেটেড নয়। তৈলাক্ত ত্বকের ধরন আপনার ত্বকের প্রতীক নয়। বরং, যদি আপনার ত্বক ডিহাইড্রেটেড হয়, তাহলে এটি আপনার ত্বকের এই তেলের সমস্যাগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আপনার যদি ডিহাইড্রেটেড ত্বক থাকে তাহলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল আপনাকে সক্রিয়ভাবে ত্বকে জল যোগ করতে হবে। আর এটি করার সর্বোত্তম উপায় হল ত্বকে হাইলিউরোনিক অ্যাসিড প্রয়োগ করা। তাই এমন কোনও সিরাম বেছে নিন যাতে রয়েছে হাইলিউরোনিক অ্যাসিড।
ত্বককে ভিতর থেকে হাইড্রেট করার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। কিন্তু সব সময় জল পান করলেই হবে না তার সঙ্গে খান জল যুক্ত ফল। অর্থাৎ শসা, তরমুজ এবং স্ট্রবেরির মত ফলকে খাদ্য তালিকায় রাখুন।
আরও পড়ুন: খুব সহজে এবং প্রাকৃতিক উপায়ে এবার বাড়িতে বসেই ডার্ক সার্কেলের চিকিৎসা করুন