রূপচর্চায় হলুদের গুরুত্ব অনেকখানি। প্রাচীনকাল থেকেই ত্বক ভাল রাখতে কাজে লাগানো হচ্ছে হলুদকে। ভারতের প্রাচীন আয়ুর্বেদেও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এই কস্তূরী হলুদের। দেখতে কাঁচা হলুদের মত। তবে ঘ্রাণ একেবারেই আলাদা। এর সুগন্ধই আপনাকে চিনিয়ে দেবে বিশেষ এই হলুদটি। মূলত দক্ষিণ এশিয়াতেই এই হলুদের জন্ম। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জন্মায় কেরলে। যে কারণে কেরলের অধিকাংশ রূপচর্চার সামগ্রীতেই মেশানো হয় এই হলুদ। কাঁচা হলুদের চাইতে এই হলুদ অনেক বেশি কার্যকরী। ব্যবহার করলে ত্বকে কোনও রকম হলদেটে ছোপও থাকে না। এছাড়াও এর সুগন্ধের জন্য শুধুমাত্র রূপচর্চাতেই তা ব্যবহার করা যায়। ইদানিং কালে এই হলুদের ব্যবহার অনেকখানি বেড়েছে। বাজারে আলাদা করে কিনতেও পাওয়া যাচ্ছে কস্তূরী হলুদ।
পিগমেন্টেশন দূর করতে- ত্বকের কালো ভাব, পিগমেন্টেশন দূর করতে খুবই কার্যকরী হল এই কস্তূরী হলুদ। রাতে একবাটি কাঁচা দুধের সঙ্গে ২ চামচ এই হলুদ ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন তা ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে মুখের উজ্জ্বলতাও বজায় থাকবে আর কালো দাগ-ছোপ খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। এই মিশ্রণ রাতে তুলোয় করে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। পরদিন সকালে তা ধুয়ে ফেলুন আর তফাৎ দেখুন নিজের চোখেই।
ব্রণর সমস্যায়- ব্রণর সমস্যাতেও খুব ভাল কাজ করে কস্তূরী হলুদ। নিম পাউডার আর মধু মিশিয়ে একসঙ্গে তা মুখে লাগাতে পারেন। এতে দাগ, ছোপ খুব তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যায়। শুষ্ক ত্বক হলে কস্তুরী হলুদ সাথে কাঁচা দূধ এবং বেসন দিয়ে পেস্ট বানাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বক হলে দুধের পরিবর্তে জায়গায় টক দই ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে একবার এই প্যাক ব্যবহার করতে পারলে আর কোনও সমস্যা থাকে না।
লোম তুলতে- মুখের লোম তুলতেও কাজে লাগানো যায় এই কস্তূরী হলুদকে। হলুদ গুঁড়ো আর মুলতানি মাটি একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রাখুন। রাতে এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে রেখে পরদিন সকালে তা ঠা্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনদিন করতে পারলে কাজ হবে।