ঠাণ্ডা বাড়লে শরীরেও সেই প্রভাব পড়ে। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে জল পড়া, শ্বাস নিতে সমস্যা, হাঁচি-কাশি এসব লেগেই থাকে। এছাড়াও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ত্বক প্রাণহীন হয়ে যাওয়া, হাজার তেল লাগালেও সাদা চামড়া ওঠা এসব একমাত্র শীতকালেই হয়ে থাকে। শীতে তাই বেশি করে ক্রিম, লোশন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এই ক্রিম ব্যবহার করলে মুখ নিয়মিত ভাবে ধুতেও হবে। নইলে মুখে একটা আস্তরণ পড়ে যায়। আর ধুলো, বালি, ময়লা এসব দিনের পর দিন যদি মুখে জমতে থাকে তাহলে ত্বক আরও বেশি প্রাণহীন হয়ে যায়। শীত আসলেই বাজারে যেন ক্রিমের ছড়াছড়ি। সেই সঙ্গে বিজ্ঞাপনের দৌড় তো আছেই। সকলেই বলতে চান যে তাঁদের ক্রিমই সেরা। এসব বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে পা না দিয়ে নিজেই ব্যবহার করুন এই সব উপাদান। কাজ হবেই।
অরগ্যান অয়েল আমাদের ত্বকের জন্য খুব ভাল। এমনকী অরগ্যান অয়েল দেওয়া শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল থাকে ঝকঝকে আর নরম। এই তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ওমেগা-৬, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মত একাধিক উপাদান। ত্বকের শুষ্কতা এবং খসখসে ভাব দূরে রাখতে কাজে আসে এই অরগ্যান তেল।
শীতের দিন মানেই সব বাড়িতে গ্লিসারিন থাকবেই। গ্লিসারিনের মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই প্রচুর ময়েশ্চারাইজার থাকে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে গ্লিসারিনের জুড়ি মেলা ভার। গ্লিসারিন সাবান তো ব্যবহার করেন তবে শীতে যে ক্রিমই ব্যবহার করুন না কেন তার মধ্যে যাতে গ্লিসারিন থাকে তা অবশ্যই একবার দেখে নেবেন।
বাদাম তেলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই। এই তেল শীতের ত্বককে নতুন প্রাণ দেয়। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক থাকে উজ্জ্বল। সেই সঙ্গে ত্বকের অর্ধেক সমস্যা সেরে যায়। বাদাম তেল একটানা মাখলে ত্বক ফর্সাও হয়।
আজকাল ত্বকের জন্য অধিকাংশই সিরাম ব্যবহার করেন। আর এই সিরামের মধ্যে উপাদান হিসেবে থাকে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড ত্বকে এজিং আসতে দেয় না। এছাড়াও ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকে।
শীতের দুপুরে যে ক্রিমই ব্যবহার করুন না কেন তার মধ্যে যাতে শিয়া বাটার থাকে তা খেয়াল রাখুন। শিয়া বাটার দীর্ঘসময়ের জন্য ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় রাখে। শীতের ঠাণ্ডা বাতাস এই শিয়া বাটারের সামনে কাবু। সকালে মাখলে রাত পর্যন্ত ত্বক নরম থাকে।