চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা এখন বছর ভর। এমন কোনও মানুষ নেই যিনি অভিযোগ করেন না যে তাঁর চুল পড়ে যাচ্ছে না। চুল পড়ে যাওয়ার নেপথ্য কারণ অনেক কিছু হতে পারে। যে জল আমরা রোজকার কাজে ব্যবহার করি তার গুণগত মানও আগের তুলনায় খারাপ হয়েছে। বেড়েছে দূষণ। এছাড়াও খাদ্যাভ্যাসেও এসেছে পরিবর্তন। এই সব কিছুর মিলিত প্রয়াস অতিরিক্ত চুল পড়ে যাওয়া। তবে যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি কোনও শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, নিয়মিত হরমোনের ওষুধ খান, চুলের উপর প্রায়শই বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট তালান তাঁদের ক্ষেত্রেও কিন্তু হতে পারে এই একই সমস্যা। আগেকার দিনে দিদিমা-ঠাকুমাদের হিংসে করার মতো কালো এক ঢাল চুল থাকত। যা এই প্রজন্মের প্রায় কারোর মধ্যেই নেই। চুলের প্রতি যত্নের অভাব, জীবনযাত্রা এর প্রধান কারণ। এছাড়াও চুল পড়ে যাওয়ার পিছনে বেশ কিছু খাবারকেও কিন্তু দায়ী করা হয়। আর তাই বিশেষ এই আর্য়ুবেদ পানীয় বানিয়ে খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। গরমের দিনে এই পানীয় খেলে চুলও গজাবে সেই সঙ্গে শরীরও থাকবে ভাল। ়
দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন
কারিপাতা নিতে হবে ১০ টা। দু চামচ টকদই এই পাতার সঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে ফেটিয়ে নিন। এবার এতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে মিক্সিতে পিষে ফেলুন। স্বাদমতো নুন, ১ চামচ জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে খান। দুপুরের খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে অথবা পরে খান। চাইলে বরফও মেশাতে পারেন।
এছাড়াও চুল ভাল রাখতে আরও যা কিছু এড়িয়ে চলবেন-
সবার প্রথমেই রয়েছে চিনি। চিনি আমাদের শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। চিনি খেলে শুধুই যে সুগার বাড়ে তা নয়, আসে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। অতিরিক্ত চিনি শরীরে ইনসুলিনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। আর সেখান থেকেও আসতে পারে একাধিক সমস্যা।
*অনেকে নানা হরমোনাল সমস্যায় ভোগেন, তাও আবার নিজের অজান্তেই। শরীরে হরমোনের ঘাটতি থাকলে কিন্তু চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। কিংবা যদি নিয়মিত হরমোনের কোনও ওষুধ খান সেক্ষেত্রেও আসতে পারে একাধিক সমস্যা। থাইরয়েড কিংবা পিসিওএসের সমস্যাতেও বেশি চুল পড়ে।
*চুলের মূল খাদ্য হল কেরাটিন। আর অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান করলে কিন্তু কেরাটিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে না। অ্যালকোহল চুলের এই প্রোটিনকে ভেঙে দেয়। যে কারণে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। বেশি চুল পড়ে।
*ডায়েট সোডা খাচ্ছেন? খুব ভুল করছেন। ডায়েট সোডা শরীরের জন্য ভীষণই খারাপ। এতে প্রচুর পরিমাণ হিডেন সুগার থাকে। যা আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায়, চামড়া কুঁচকে যায় এবং চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে।
*জাঙ্ক ফুড কিন্তু ভুলেও নয়। এর মধ্যে যে মনোস্যাচুরেটেড এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে তা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। সেখান থেকে হার্টের সমস্যা, চুল ঝরার মতো একাধিক সমস্যা আসে।