দীর্ঘ ১ মাস রোজা রাখার পর পালিত হয় ঈদ-উল- ফিতর (Eid-Ul-Fitr 2022) বা রোজার ঈদ। প্রতি বছরই মুসলমানদের জীবনের ফিরে আসে ঈদ। তবে একই দিনে নয়। এই দিনটিতে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা খুবই আনন্দের সঙ্গে পালন করেন। প্রসঙ্গত, অর্ধচন্দ্র বা শাওয়ালের চাঁদ দেখে তবে ঈদের উৎসবের সূচনা হয়। আর সেই সময় সকলে নতুন পোশাক, বিভিন্ন সুস্বাদু সব ভোজনের আয়োজন করেন। আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরাও এই আনন্দের অংশীদার হয়। মিষ্টি, নতুন জামাকাপড়, উপহার এবং অন্যান্য জিনিস কিনে ঘরবাড়ি সাজানো হয়। তবে এই উত্সবের অন্যতম অংশ হল মেহেন্দি। এই মেহেন্দি ছাড়া ঈদের উত্সব প্রায় অস্পূর্ণ।
আগামী ৩ মে, গোটা দেশ জুড়ে পালিত হবে ঈদল ফিতর। কেন্দ্রীয় সরকারের ছুটির ক্যালেন্ডার অনুসারে, মেঠি ঈদ পালিত হল ৩ মে। তবে পুরো উত্সবটিই পালিত হলে চাঁদ দেখার পরই। প্রতি বছর ঈদের তারিখ পরিবর্তিত হয় কারণ এটি হিজরি ক্যালেন্ডার মেনে পালিত হয়। যেটি চাঁদের পর্যায়গুলির উপর ভিত্তি করেই দিন গণনা করা হয়।
ঈদের উত্সবে মুসলিম মহিলারা নিজেদের সাজিয়ে তুলতে দুই হাতে মেহেন্দির সুন্দর সুন্দর নকসা করে থাকেন। এই মেহেন্দির নকসা ছাড়া ঈদের উত্সব সম্পূর্ণ হয় না। ঈদের আগের দিন পরিবারের সব মহিলারা একে অপরের হাতে মেহেন্দি পরিয়ে দেন। বর্তমানে মেহেন্দির নকসা যাতে নজরকাড়া হয়, তার জন্য দোকানে বা পার্লারে গিয়ে ট্রেন্ডি ডিজাইনের মেহেন্দি পরতে পছন্দ করেন মহিলারা। বিশেষ করে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায়, এই ঈদের মরশুমে মেহেন্দি শিল্পীদের চাহিদা আগের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে।
যে কোনও উত্সবে হাতে মেহেন্দির নকসা করা , বর্তমানে ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুন্দর সুন্দর প্যাটার্নের মেহেন্দির নকসা হাতের মধ্য়ে জায়গা করে নেয়। হাতের তালুতে কখনও গোলাকা, কখনও গোলাপ ফুলের মত নকসা, আবার কখনও বা আরবি ডিজাইনের মত চোখ ধাঁধানো ডিজাইন চোখে পড়ে। তবে সেই নকসা দেখে ভাবতে পারেন, খুব কঠিন একটা কাজ। তবে বাড়িতে নিজের হাতে নিজেই মেহেন্দির ডিজাইন করতে পারবেন। তার জন্য বেশ কয়েকটি ডিজাইনের ছবি দেওয়া রইল, তা দেখে নিন…
আরও পড়ুন: Katrina Kaif: মেহেন্দি করার সময় হাতে কার নাম লেখার অনুরোধ করেছিলেন ক্যাটরিনা, জানেন?