বয়সের ছাপ সবথেকে আগে পড়ে মুখে। আর ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মুখে তা যে একটু তাড়াতাড়ি আসে একথা সব মেয়েই জানেন। এদিকে মেয়েদের কিন্তু বয়েস বলা মানা। বয়েস লুকিয়ে রাখার দারুণ কিছু কৌশল জানেন মেয়েরা। আর এর জন্য অবশ্যই কিছুটা সময় দিতে হবে নিজেকে। বাড়ির সকলে কখন ঘুম থেকে উঠবে কখনও চা করবেন এসব ভাবতে বসলে চলবে না। বরং সেই সময়টা কাজে লাগান নিজের রূপচর্চায়। এর সঙ্গে টেনশন কমাতে হবে। মানসিক চাপ যত কম হবে ত্বক কিন্তু ততই ভাল থাকবে। ত্বকের পরিচর্যা নেওয়ার জন্য এখন হাজারটা উপাদান হাতের সামনেই পাওয়া যায়। আর সব প্রোডাক্টের দামই যে খুব বেশি এমনটাও নয়। স্কিন কেয়ার নিয়ে একাধিক ভিডিয়োও পাওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে একসঙ্গে সব উপদেশ মানা তো সম্ভব নয়। আর তাই আপনার জন্য রইল সহজ কিছু টিপস। যা মানতেও কোনও সমস্যা হবে না, সেই সঙ্গে ত্বকও কিন্তু ভাল থাকবে।
১.সারাদিন সতই কাজের চাপ থাকুক না কেন রাতে কিন্তু অবশ্যই মুখ ধুয়ে শুতে যাবেন। কারণ মুখের কোষে অক্সিজেন সবচেয়ে ভাল পৌঁছয় এই রাতের বেলাতেই। এই সময় মুখের কোলাজেনও পুনঃগঠিত হয়। আর তাই এই সময়টা ত্বককে বিশ্রাম দিন।
২.মুখ ধুয়ে কোনও একটা নাইটক্রিম ব্যবহার করতে হবে। বয়স ২০ হলেই লাগানো যাবে নাইট ক্রিম। এই হল রাতের রুটিন।
৩.সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ জল আগে চোখে-মুখে দিন। এতে ঘুম যেমন কাটে তেমনই ত্বকের সজীবতাও কিন্তু বজায় থাকে।
৪.এরপর হালকা কোনও ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। জেল বেস কিছু হলে সবচাইতে ভাল। এতে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে চটজলদি।
৫.স্নান করার সময় চেষ্টা করুন কোনও একটা হোমমেড ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে। বেসন-লেবুর রস-টক দই-চালগুঁড়ি-কফি-মুসুর ডাল বাটা-চিনি মিশিয়ে একটা প্যাক বানান। তা মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে দিন। এতে ধুলো-ময়লা যেমন দূর হবে তেমনই মুখের তৈলাক্ত ভাবও কমবে। সেই সঙ্গে বজায় থাকবে ত্বকের PH
৬.এরপর মুখে কোনও একটি সিরাম লাগান। এতে ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় থাকবে। অনেকেরই সিরাম ব্যবহার করলে মুখ শুকনো লাগে। সেক্ষেত্রে সিরামের সঙ্গে সানস্ক্রিন বা অন্য কোনও ময়েশ্চারাইজার মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
৭.বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে বেরোন। এতে ত্বক থাকবে ঠান্ডা। সহজে পুড়ে যাবে না। বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে আবার মুখ ধুয়ে নিয়ে কোনও টোনার স্প্রে করুন। এতে কোলাজেন উৎপাদন ভাল হয়। ত্বকের জন্যেও ভাল।