সৌন্দর্যের প্রশংসা করার সময় চোখের কথা আসবেই। একটি মানুষের ভাল দিক বর্ণনা করা সময় চোখের দিকেই নজর সবার আগে পড়ে। চোখ (Eye Care) শরীরের সবচেয়ে সুন্দর ও স্পর্শকাত একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। শরীরের যেকোনও অনুভূতি চোখেই ধরা পড়ে। শরীরের চাহিদা মতো ঘুমও হচ্ছে না। অনিদ্রা বা কাজের চাপ(Stress), রাত জেগে কাজ করা বা মানসিক চাপের কারণে চোখের নীচে কালো ডার্ক সার্কেলের (Dark Circle) সমস্যা দেখা যায়। মুখের ত্বকের সব সমস্যার সমাধান পাওয়া গেলেও, এই একগুয়ে ডার্ক সার্কেল হঠানো বেশ কঠিন। এই সমস্যা হ্রাসের থেকে বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। প্রাচীন কাল থেকেই এই সমস্যার একমাত্র মোক্ষম দাওয়াই হল শসা (Cucumber)। চোখের চারিধারে চওড়া হয়ে যাওয়া ডার্ক সার্কেলের নিরাময়ের জন্য শসার উপকারিতা বহুবার প্রমাণিত। কিন্তু শসাই কেন একমাত্র উপাদান, তা হয়ত অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে।
চোখের নীচে কালো ছোপ বা ডার্ক সার্কেলে থাকলে আরও বয়স্ক দেখায়। যদি সঠিকভাবে চিকিত্সা না করা হয় তবে এই ডার্ক সার্কেলগুলি অনেকের জন্য দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হিসাবে দেখা যায়। চোখের নীচের ত্বকটি সবচেয়ে পাতলা হয়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটিকে সহজে কালো ছোপ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। কারণগুলির মধ্যে রয়েছে হাইপারপিগমেন্টেশন, দুর্বল রক্ত সঞ্চালন, ভিটামিন সি এর ঘাটতি। হাইপারপিগমেন্টেশন এবং ফোলাভাব নির্মূল করা কঠিন তবে তাদের চেহারা কমিয়ে আনার পাশাপাশি চোখের নীচে ফোলাভাবগুলিও কমিয়ে ফেলার উপায় রয়েছে। শসায় রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ। যেমন থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি৬ এবং ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান, যেগুলি ত্বকের জন্য অত্যন্ত ভাল। চোখের চারিপাশের ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য সবচেয়ে কার্যকর সৌন্দর্য উপাদানগুলির মধ্যে অন্য়তম বলে মনে করা হয়। চোখের নীচে ফোলাভাব ও কালো বৃত্তাকার ছোপ কমাতে শসার প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য দারুণ কাজে দেয়। চোখের চারিপাশের ত্বককে হাইড্রেট করতে, ঠান্ডা রাখতে ও রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
শসার মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও সিলিকা। যেগুলি ডার্ক সার্কেলকে কমাতে সাহায্য করে। চোখের চারপাশের ত্বককে হালকা রাখতেও সহায়তা করে। ডার্ক সার্কেল দূর করে মুখের হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে দারুণ কার্যকরী। বিশেষ করে শসার খোসার সবুজ অংশে রয়েছে ভিটামিন এ, যেটি ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে।
চোখের নীচের অংশে কালো অংশটি যে কোনও পরিস্থিতিতেও খারাপ লাগে। শসায় রয়েছে ভিটামিন সি ও ফলিক অ্যাসিড। ভিচামিন সি ত্বকে নতুন কোষের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। অন্যদিকে ফলিক অ্যাসিড অ্যান্টি- অক্সিডেন্টকে সক্রিয় করে তোলে। ত্বকের ফোলাভাব ও ক্লান্তিভাব কাটাতেও সাহায্য করে। সপ্তাহে দুবার শসার দুটি স্লাইস চোখের উপর রেখে চোখের ডার্ক সার্কেল দূর করার চেষ্টা করতে পারেন। শসার ফেস মাস্কও ব্যবহার করতে পারেন।