চুল নিয়ে অভিযোগ সকলের। যতই চুলে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, তেল এসব ব্যবহার করা হোক না কেন কিছুতেই চুল পড়া কমে না। সিরাম, কন্ডিশনার এসব লাগালে চুল কিছুক্ষণের জন্য নরম থাকলেও তারপর আবার রুক্ষ্ম হয়ে যায়। আর চুলে যত বেশি কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় ততই বেশি চুলের ক্ষতি হয়। হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার এসব বেশি ব্যবহার করলে চুল বেশি ঝরে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন অতিরিক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট চুলে বেশি ব্যবহার করবেন না। এছাড়াও প্রোডাক্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে। ভুল প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে সেখান থেকেও কিন্তু চুলের ক্ষতি হয়। এক্ষেত্রে গাদা গাদা পয়সা খরচা না করে কাজে লাগান ঘরোয়া কিছু টোটকা। এতে যেমন ভাল কাজ হবে তেমনই চুল পড়াও কিন্তু কমবে।
চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল স্ক্যাল্প পরিষ্কার না থাকা। স্ক্যাল্পে ধুলো, বালি ময়লা এসব বেশি জমলে সেখান থেকে বেশি চুল পড়ে যায়। আর তাই চুল নিয়মমাফিক পরিষ্কার রাখুন। যদি রোজ বাড়ির বাইরে বেরোতে হয় তাহলে রোজ শ্যাম্পু করার চেষ্টা করুন। এতে চুল পরিষ্কার থাকবে। তেল চিটচিটে ময়লা যত বেশি বসবে ততই চুল বেশি পড়বে। এর জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন শ্যাম্পু করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। শ্যাম্পু করে আপনার স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখুন। চুলের অনেক সমস্যাই সমাধান হবে। চুল পড়া কমবে।
শ্যাম্পু করার আগে অনেকেই হট অয়েল ম্যাসাজ করেন। কারিপাতা, কালোজিরে, জবাফুল আর মেথি একসঙ্গে ভাল করে ফুটিয়ে নিন নারকেল তেল দিয়ে। এবার তা মাথায় ম্যাসাজ করে নিন। এতেও কিন্তু বেশ ভাল কাজ হবে। পরদিন সকালে শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পুর পর লাগিয়ে নিন কন্ডিশনার। এতে চুল নরম থাকবে। তবে চুলে কন্ডিশনার লাগালে খুব ভাল করে তা ধুয়ে নিতে হবে। কন্ডিশনার মাথায় থেকে গেলে সেখান থেকে খুশকির সমস্যা আসে। এছাড়াও সারাক্ষণ মাথা চুলকোয়, চুলও পড়ে অনেক বেশি।
চুলের জন্য ডিম খুব ভাল। ডিম, টকদই আর পাকা কলা একসঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার তা চুলে ঠিক ভাবে লাগিয়ে নিন। এই প্যাক যেন অন্তত ১ ঘন্টায় মাথায় থাকে। এরপর তা ভাল করে ধুয়ে নিলেই কাজ হবে। সপ্তাহে অন্তত ১ দিন এই প্যাক ব্যবহার করুন।