ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা (Skin Problems) যেমন- ব্রণ (Acne), র্যাশ বা ফুসকুড়ি কিংবা লালচে বা কালো দাগ ইত্যাদির সমস্যায় কম বেশি সবাই ভোগেন। বিশেষ করে এ সমস্যাগুলো যখন মুখে (Facial Skin) দেখা দেয়, তখন তা নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। কী করলে দ্রুত সারানো যায় ব্রণ, র্যাশ কিংবা কালো দাগ? সেই সমাধান খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সবাই। কোনটি ভাল বা কোনটি মন্দ সেটি যাচাই না করেই বিভিন্ন প্রসাধনী, ক্রিম কিংবা ওষুধের উপর ভরসা করতে শুরু করেন অনেকে। যা এসব সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
ফলে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, ত্বকের এসব সমস্যা কী আদেও সারানো সম্ভব? জানলে খুশি হবেন যে, এবার তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
আমেরিকার সান দিয়েগোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিনে’ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি। গবেষকরা জানিয়েছেন, এখন থেকে ত্বকের ব্রণ, র্যাশ কিংবা লাল বা কালো দাগ দ্রুত সারানো যাবে নতুন এক উপায়ে। তাদের মতে, ত্বকের নানা ধরনের ক্ষত বা প্রদাহ সারিয়ে তুলতে বড় ভূমিকা নেয় ত্বকের কোষ (ফাইব্রোব্লাস্টস)।
ত্বকের এই কোষগুলো ফ্যাটসহ নানা ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। গবেষকরা দেখেছেন, ফাইব্রোব্লাস্টসের কিছু কিছু কোষ চর্বিসহ নানা ধরনের ফ্যাটি অ্যসিড তৈরি করে। ব্রণ তৈরি করার ব্যাকটেরিয়া ফাইব্রোব্লাস্টসের সেই কোষগুলোর সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়, ফলে প্রদাহ বেড়ে যায়। আর তখনই দেখা দেয় ব্রণ, র্যাশ অথবা ত্বকের লালচে বা কালো দাগ। সুতরাং, আর দেরি না করে, এবার সঠিক ওষুধের সন্ধান করে নিন। যদিও, ত্বকের জন্য কোনওরকম ওষুধের আগে চর্ম বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নেওয়াটা জরুরি। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ত্বকের জন্য সঠিক পরামর্শও পেতে পারবেন আর আপনার ত্বক সুস্থও থাকবে।
গবেষণা জানিয়েছে, ফাইব্রোব্লাস্টসের কোষগুলো চর্বি কোষ তৈরি করার সময়ই ক্যাথেলিসিডিন নামক এক ধরনের পেপটাইড (প্রোটিন)-এর নিঃসরণ খুব বেড়ে যায়। এই ক্যাথেলিসিডিন কিন্তু ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দ্রুত ধ্বংস করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওষুধ দিয়ে বা অন্য কোনও চিকিৎসা পদ্ধতিতে শরীরে ক্যাথেলিসিডিনের নিঃসরণ বাড়ানোর মাধ্যমেই ত্বকের ব্রণ, র্যাশ কিংবা লালচে বা কালো দাগ পুরোপুরি সারিয়ে তোলা যাবে, তাও আবার খুব দ্রুততার সঙ্গে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।