শুষ্ক ত্বক বা তৈলাক্ত ত্বকের চেয়ে সংমিশ্রণ ত্বকের ঝামেলা যেমন বেশি, তেমনি বেশি যত্নেরও প্রয়োজন। ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয়ে যায় তখন নারকেল তেল দিয়ে নিমিত মাসাজ করতে পারেন। আবার অন্যদিকে খুব তৈলাক্তভাব দেখা দিলে বা ব্রণর প্রবণতা দেখা দিলে রান্নাঘরের দুটি উপাদান দই ও হলুদ মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন। এমন সংমিশ্রণ ত্বকের জন্য চাই উপযুক্ত পণ্য ও ঘরোয়া উপকরণের দরকার।
কম্বিনেশন বা সংমিশ্রিত ত্বকের অর্থ হল ত্বকের কিছু অংশ শুষ্ক ও কিছু অংশ তৈলাক্ত। এই ধরনের ত্বকের জন্য পুরো ক্রিম-ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যায় না আবার এমন কিছু বছে নিতে পারবেন না যা আপনার ত্বককে ফ্ল্যাকি করে তোলে। একটি ভারসাম্য বজায় রেখে একটি লক্ষ্য রাখা উচিত। শীতের মাসগুলিতে যেমন একটু বেশিই খেয়াল রাখা দরকার।
গ্রীষ্মের দিনগুলিতে সানব্লক আপনার ত্বকের অর্ধেক সমস্যার সমাধান করে। ত্বক যদি খুব বেশি শুষ্ক ও তৈলাক্ত হয়ে যায়, পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ঘাম হলে, একাধিক পণ্য ব্যবহার এড়িয়ে যান। শীতকালে পুষ্টি, রোদ থেকে রক্ষা পেতে, হাইড্রেশনের দরকার। কম্বিনেশন স্কিন যাঁদের, তাঁরা যদি সঠিক নিয়মে যত্ন না নেন, তাহলে শীতের মাসগুলিতে সবচেয়ে বেশি খারাপ হতে পারে। সকাল, সন্ধ্যা ও রাতের রুটিন অনুযায়ী সংমিশ্রিত ত্বকের দেখভাল করুন।
সকালবেলা- ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে যেটি করবেন, তা হল একটি জেল-ভিত্তিক ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিস্কার করে নিন। ক্রিম জাতীয় ফেসওয়াশ ব্যবহার করা এড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ এতে শুষ্ক ও তৈলাক্ত ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে যায়। অ্যালোভেরা ব্রণ ও ব্রণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাতে তৈলাক্ততা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এরপর সানব্লক ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন।
রাত্রিবেলা- রাতে জেলভিত্তিক পিল অফ ক্রিম আপনার ত্বকের জন্য আদর্শ। মুখের ত্বকের শুষ্ক ও তৈলাক্ত দিকের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া মুখের মধ্যে দাগ দূর করতে সাহায্য করে। শীতের রাতে নূন্যতম পণ্য ব্যবহার করা উচিত, তাতে ত্বকের পুষ্টিক চাহিদা পূরণ হয়।
প্রো টিপস- আপনি যে পণ্যই ব্যবহার করুন না কেন, তা ডিটক্স করছে কিনা তা লক্ষ্য রাখুন। এছাড়া ত্বকেরও শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার সুযোগ দিতে হয়। সানস্ক্রিনের এক কোট অবশ্যই দেবেন। তাতে সকালের রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। এছাড়া ভিটামিন ডি-এর সাহায্য ব্রণ, ব্রণের দাগ নিরাময় করতেও সাহায্য করে।