পার্টিতে বা ঘরোয়া যে কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে আয়না দেখলেন আপনার গালে , কপালে বা ঠিক ঠোঁটের পাশে একটি ব্রণ লাল হয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে! তখন কেমন মনের অবস্থা হয়, তা যাঁদের সঙ্গে এমনটা হয়, তা তাঁরাই বোঝেন। মুহূর্তের মধ্যে পরিকল্পনা বাতিল করবেন নাকি মেকআপ দিয়ে ব্রণ ঢাকবেন, তা সিদ্ধান্ত নিতেই আরও কয়েকমিনিট চলে যায়। তবে সেই কঠিন পরিস্থিতিতে মেকআপ ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না।
২০-৩০ বছরের মধ্যে যদি প্রতিদিন ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়, তাহলে ত্বকের করুণ অবস্থা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। দৈনন্দিন ত্বকের পরিচর্চায় সঠিক উপায় মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে মুখে ব্রণের প্রবণতা দেখা দিলে প্রথমেই আতঙ্কিত হবেন না। বরং ব্রণ ও ব্রেকআউট থেকে দূরে থাকার জন্য কতকগুলি সহজ টিপস অনুসরণ করতে পারেন।
ব্রণ প্রবণতা হ্রাস বা প্রতিরোধ করতে সহজ কিছু টিপস…
-অতিরিক্ত তেল এবং ময়লা দূর করতে দিনে দুবার করে মুখ ধুয়ে নিন।
-ভারী, তৈলাক্ত ক্রিম এবং প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন এবং শুধুমাত্র আপনার ত্বকে নন-কমেডোজেনিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
-ব্রণগুলি চেপে বা পপ করা এড়িয়ে চলুন কারণ এটি ছিদ্রগুলিকে আরও ময়লা জমে ব্লক হয়ে যেতে পারে এবং ব্রণকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
-ফাস্টফুড, তৈলাক্ত এবং জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন।
-যতটা সম্ভব সূর্যের বাইরে থাকুন এবং সূর্যের আলো, ধুলো বা দূষণের মুখোমুখি হলে আপনার মুখ এবং ত্বক ঢেকে রাখুন।
-আপনার মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন এবং আপনার গালে আপনার আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিন কারণ এটি ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে
– হাইড্রেটেড থাকার জন্য প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার জল পান করুন।
-নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং কখনওই ব্যায়াম সেশন এড়িয়ে যাবেন না।
-পুরো শস্য, তাজা ফল এবং শাকসব্জির সঙ্গে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার খান, যাতে ব্রণ হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে
– কম গ্লাইসেমিক খাবার খাওয়া আপনার ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।
-ভিটামিন এ এবং ই সমৃদ্ধ খাদ্য উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী।
আরও পড়ুন: ত্বক ও চুলের জন্য জবা ফুলে রয়েছে হাজারো গুণ! কোন কোন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন, জানুন