বিয়ে বাড়ি নিয়ে ব্যস্ত বাঙালি। তার সঙ্গে ২ পয়েন্টে পাখা চালাবে নাকি চাদর গায়ে দিয়ে ঘুমবে বুঝতে পারছে না। ডিসেম্বর চলে এলেও বঙ্গে শীতের দেখা নেই। শীত আপনি উপভোগ না করলেও, আপনার ত্বক টের পাচ্ছে ঠান্ডা আবহাওয়া। স্নান সেরে বডি লোশন না মাখলেও চামড়ায় টান ধরছে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভারী ময়েশ্চারাইজার মাখতেই হচ্ছে। এই অবস্থায় ত্বকের যত্ন নেওয়া আরও কঠিন পড়ছে।
শীতকাল মানেই শুষ্ক ও নিস্তেজ ত্বক। কিন্তু এই ত্বকের সমাধানও রয়েছে আপনার হেঁশেলে। মসৃণ ও কোমল ত্বক পেতে চাইলে মধুর সাহায্য নিন। মধু ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষে করে এবং হাইড্রেট রাখে। পাশাপাশি মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ত্বককে শীতকালীন সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করে।
ত্বকের উপর যে উপায়ে মধু মাখবেন-
আপনি ত্বকের উপর সরাসরি মধু মাখতে পারেন। এক চা চামচ মধু নিয়ে ত্বকের উপর মালিশ করুন। মিনিট পনেরো রেখে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও আপনি মধুর ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
২ চামচ ভেষজ মধু নিন। এর সঙ্গে এক চামচ আমন্ড তেল বা জোজোবা তেল মিশিয়ে নিন। পাশাপাশি এতে মেশান এই চামচ টক দই। এই মিশ্রণটি আপনি ত্বকের উপর ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে পারেন। এই ফেসপ্যাক আপনার ত্বকে আর্দ্রতা জোগাবে। পাশাপাশি ত্বককে শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়া থেকেও সুরক্ষ প্রদান করবে।
অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক না আপনি শুধু টক দই ও মধু মাখতে পারেন ত্বকে। টক দইয়ের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, এটি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। এতে মরা চামড়া পরিষ্কার হয়ে যায় এবং ত্বক আরও উজ্জ্বল দেখায়।
ফেসপ্যাক ব্যবহারের আগে মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। ময়লা জমে থাকা ত্বকে মধুর ফেসপ্যাক মাখলে কোনও উপকার পাবেন না। টক দই ও মধু ফেসপ্যাক ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপরেই দেখতে পাবেন ত্বকের উপর ম্যাজিক।
আপনি যে উপায়েই মধু ব্যবহার করুন না কেন, ত্বকে আপনার তার প্রভাব লক্ষ্য করতে পারবেন। মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং বলিরেখা ও সূক্ষ্মরেখা কমায়। মধুর ফেসপ্যাক কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে এবং ত্বকের জৌলুস ধরে রাখতে সাহায্য করে।