এখনও চুলের যে কোনও সমস্যার জন্য বেশিরভাগ মানুষ মা-ঠাকুমার ঘরোয়া টোটকাকে বেছে নেন। কিন্তু ঘরোয়া প্রতিকার ছাড়াও এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা আদতে চুলের জন্য ভাল। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, বিয়ার চুলের উপর দারুণ প্রভাব ফেলে। বিশ্বে যে সব অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়গুলো পান করা হয়, তার অন্যতম হল বিয়ার। সীমিত পরিমাণে বিয়ার পান করলে শরীর ভাল থাকে। কিন্ত চুলে বিয়ার ব্যবহার করলে কী-কী উপকার পাওয়া যায় তা জানেন?
চুলের জন্য বিয়ার খুবই ভাল। এর মধ্যে ‘সিলিকা’ নামের একটি মিনারেল রয়েছে যা চুলকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। এই সিলিকা চুলকে ভিতর থেকে মজবুত করে তুলতে সাহায্য করে। সিলিকা ছাড়াও বিয়ারের মধ্যে থাকে কপার, ম্যাগনেশিয়াম,আয়রন এবং বিভিন্ন ভিটামিন। এই সব উপাদানগুলো আদতে চুলের জন্য খুব উপকারী। এই সব কারণেই অনেকেই বিয়ারকে শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু তা বলে সরাসরি চুলে বিয়ার ব্যবহার করার ভুল করবেন না।
বিয়ারকে যদি শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে। কিন্তু সরাসরি বিয়ারকে আপনি চুলে ব্যবহার করতে পারবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। কীভাবে চুলে বিয়ার ব্যবহার করবেন, দেখে নিন…
প্রথমত বিয়ারের বোতলটা সারারাত ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় রেখে দিন। এবার প্রথমে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভাল করে ধুয়ে নিন। চাইলে কন্ডিশনারও লাগাতে পারেন। এই ক্ষেত্রে কন্ডিশনার ব্যবহার না করলেও হবে। শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নেওয়া পর বিয়ার নিয়ে চুলে ও স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। এরপর বিয়ারটা ১৫ মিনিট চুলে রেখে দিন। তারপর চুল ধুয়ে নিন হেয়ার সিরাম লাগিয়ে নিন।
হেয়ার প্যাকও বানিয়ে নিতে পারেন বিয়ার দিয়ে। এতেও উপকার পাবেন। হেয়ার প্যাক তৈরি করার জন্য। এর জন্য এক কাপ বিয়ার, এক চামচ মধু,একটি ডিমের কুসুম আর একটি পাকা কলা ম্যাশ করে মাস্ক তৈরি করুন। এটা চুলে ও স্ক্যাল্পে ২-৩ ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। এতে চুল মসৃণ হয়।
হাফ কাপ বিয়ার আর ডিমের কুসুম একসঙ্গে মিশিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন হেয়ার প্যাক। এবার তা চুলে ভাল করে ম্যাসাজ করুন। এবার এক ঘন্টা রেখে ধুয়ে নিন শ্যাম্পু দিয়ে। এরপর কন্ডিশনার লাগাতেও ভুলবেন না। ডিমের মধ্যে যে থাকা প্রোটিন যেমন চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখবে তেমনই চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে।